স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে বিমানের এক কর্মচারি কারাগারে
চট্টগ্রাম অফিস: স্বর্ণ চোরাচালানে সহযোগিতার অভিযোগে বাংলাদেশ বিমানের এক কর্মচারিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর এই আদেশ দিয়েছেন। ওই আসামি হল চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত বিমানের ট্রাফিক হেল্পার একেএম নূরউদ্দিন। আগের দিন কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে একই মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ২৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রাচ্যের দোহা থেকে দুবাই হয়ে আসা এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের এক যাত্রী লাগেজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছিলেন। সেসময় বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান এবং বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মোমেন মকসুদসহ কয়েকজন মিলে ওই লাগেজের মালিককে গ্রেফতার এড়িয়ে নিরাপদে বিমানবন্দর পার করে দেবার অভিযোগ উঠেছিল। এর ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক রহমতউল্লাহ বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দুই বছর তদন্তের পর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামান আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে ৭ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন, কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান, সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী মোমেন মকসুদ, আনসারের এপিসি ইলিয়াস, আনসার সদস্য মাহফুজার ও শাহিন, বিমানের ট্রাফিক হেল্পার নুরুদ্দিন এবং লাগেজের মালিক আলাউদ্দিন।