শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্পের নতুন মুসলিম নিষেধাজ্ঞা

১০ মার্চ, দ্য গার্ডিয়ান: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত নতুন মুসলিম নিষেধাজ্ঞাকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানালো যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য। এর আগে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য এ নিষেধাজ্ঞাকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। এবার হাওয়াই এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস, ওরিগন ও ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে ট্রাম্প আরোপিত মূল নিষেধাজ্ঞাটি আইনি চ্যালেঞ্জে হেরে যাওয়ার পর সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। আগের নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আদতে তা আগের নিষেধাজ্ঞার মতো করেই মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। ১৬ মার্চ থেকেই আদেশটি কার্যকর হওযার কথা। কিন্তু নতুন আদেশটি জারি হওয়ার পর পরই তার বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। ১৫ মার্চ মামলার শুনানি হওয়ার কথা। আর এর মধ্যেই হাইওয়াইয়ের মতো করেই নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য।
নিউইয়র্ক বলছে, নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাটি মূলত মুসলিম নিষেধাজ্ঞা। ওয়াশিংটন বলছে, এ নিষেধাজ্ঞা অঙ্গরাজ্যটির জন্য ক্ষতিকর। পরে ওরিগন ও ম্যাসাচুসেটসও একই কাতারে যোগ দেয়।
ক্ষমতা গ্রহণের পরই ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে সাত মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে সিয়াটলের একজন বিচারক ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। ট্রাম্প প্রশাসন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও সান-ফ্রান্সিসকোভিত্তিক তিন বিচারকের প্যানেল তা খারিজ করেন।
পরে গত সোমবার সাত মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর স্থগিত হয়ে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নতুন জারি করা নিষেধাজ্ঞায় আগের তালিকায় থাকা ইরাককে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে অপর ছয়টি দেশের নাগরিকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের জারি করা নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের যেসব নাগরিকদের বৈধ ভিসা নেই তারা আগামী ৯০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিম নিষেধাজ্ঞা বলা যাবে না। কারণ এ নিষেধাজ্ঞার ফলে অন্য দেশগুলোর মুসলিম নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই স্বাক্ষরের পর থেকেই কার্যকর হচ্ছে না। ১৬ মার্চ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ