‘জাহাজবাড়িতে’ জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আবারো পেছালো
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত ‘তাজ মঞ্জিলের’ জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় ফের পিছিয়েছে আদালত। এ নিয়ে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পঞ্চমবারের মতো সময় পেল পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তা দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির মাহমুদ চৌধুরী প্রতিবেদন জমার জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন।
আগামী ১১ এপ্রিল বিচারক প্রতিবেদন জমার নতুন দিন ঠিক করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলতাফ হোসেন জানান। তিনি বলেন, এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, ৩১ অক্টোবর, ৮ ডিসেম্বরের পর এ বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল।
কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজবাড়ির’ পঞ্চম তলায় গত বছরের ২৬ জুলাই ভোররাতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে নয় সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যায়। হাসান নামের একজনকে গুলীবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়, পালিয়ে যায় একজন। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা করেন, যাতে ১০ জনকে আসামী করা হয়। মামলাটিতে রাকিবুল হাসান রিগ্যান ওরফে শামীম নামের এক আসামী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হলেও এ ঘটনায় জাহাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত বাড়িটি জঙ্গিদের কাছে ভাড়া দেয়ার তথ্য গোপন ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা আরেকটি মামলায় ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেয়া অভিযোগপত্রে বাড়ির মালিক হাজী মো. আতাহার উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার এসআই বজলার রহমান গত ১ অগাস্ট বাড়ি ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্য গোপন ও পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে ওই মামলা করেন। তবে এ মামলার আসামী জাহাজবাড়ির মালিককে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।