ঢাকা, শনিবার 20 April 2024, ০৭ বৈশাখ ১৪৩০, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

কমে গেছে রেমিটেন্স : উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক: ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক আয় তথা রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে। আর সেই কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি জানান, এর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি গবেষক দল শিগগির মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো সফর করবে। তারা রেমিটেন্স হ্রাস পাওয়ার কারণ উদঘাটনসহ বৈধ চ্যানেলে এর প্রবাহ বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করবে। আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) মধ্যাহ্ন ভোজসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিটেন্স প্রায় ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বৈদেশিক মুদ্রানীতি উদারীকরণের আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি আরএমজি ও নন আরএমজি খাতের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) সমপরিমাণ বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বহুমুখীকরণে এটি বিশেষ সহায়ক হবে। বর্তমানে ইডিএফ তহবিলের ২০ মিলিয়ন ডলার প্রণোদনা দেয়া হয় আরএমজি খাতে এবং ১৫ মিলিয়ন নন-আরএমজি খাতে দেয়া হয়। আনিস এ খান তার বক্তব্যে ব্যাকিং খাতে ‘ব্যাংক ইন্স্যুারেন্স’ চালুর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে বিমাখাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। অবহেলিত এই খাতটি দ্রুত চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

গভর্নর বলেন, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ইনফরমাল চ্যানেল এখনো বেশ শক্তিশালী। এজন্য বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর খরচ কমানোর বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। তবে রেমিটেন্স প্রবাহ কমলেও দুঃচিন্তার কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমাদের রয়েছে।

খেলাপি ঋণের কারণে সুদহার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে কমছে না উল্লেখ করে ফজলে কবির বলেন, সুদের হার এখন সিঙ্গেল ডিজিটে কমে এসেছে। তবে খেলাপি ঋণ কম থাকলে সুদহার আরও হ্রাস পেতো।’ তিনি বলেন, মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে ১০ দশমিক ৩ শতাংশই হলো খেলাপি ঋণ। আর মোট খেলাপি ঋণের ২৫ শতাংশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাকগুলোর।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতকে (এসএমই) বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যতের মূল চালিকাশক্তি উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এসএমই ঋণ প্রাপ্তির মূল সমস্যা হলো-হস্তান্তর যোগ্য নয় এমন জামানত দাখিল করা। এসএমই ঋণ সহজ করতে হস্তান্তরযোগ্য সম্পদকে জামানত হিসেবে দাখিল করার বিধানের বিষয় নিয়ে ভাবা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এসএমই ঋণকে কৃষিঋণের মতো করে বিতরণ করা যায় কি-না তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। আগামীতে এসএমই ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ম্যানুফেকচারিং খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারিখাতকে আরও বেশি সম্পৃক্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ