মুহসিন দাতব্য চিকিৎসালয়টি ইজারামুক্ত ও একশ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করার দাবি
খুলনা অফিস: মুহসিন দাতব্য চিকিৎসালয়টি ইজারামুক্ত ও একশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল করার দাবি উঠেছে। ১৮৬৬ সালে হাজী মুহম্মদ মুহসিন ৫১ শতক সম্পত্তির ওপর দাতব্য চিকিৎসালয়টি গড়ে তোলেন। খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর ও আশপাশের মানুষের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এ হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়। সম্পত্তি পরবর্তীতে সৈয়দপুর ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত হয়। যার মালিকানা পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক খুলনার নিকট ন্যস্ত হয়। দাতব্য চিকিৎসালয়ের সেই বিল্ডিংটিতে এখন দিঘলিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ‘সাব সেন্টার, দিঘলিয়া’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে। দিঘলিয়া উপজেলার ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন যাবৎ এই এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষসহ এলাকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. সুহানা নাজমীন রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শুরু থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সাব-এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. সাহিদুর রহমান।
ডা. সুহানা নাজমীন বলেন, সরকারি কর্মচারী সরকারি বাসভবনে বসবাস করে সেই জায়গা ইজারা গ্রহণ করা অনৈতিক। আমি এখানে চিরকাল থাকবো না। আপনারা একশ’ শয্যা হাসপাতাল করতে চাইলে অবশ্যই ইজারা বাতিল করতে হবে।
ডা. সাহিদুর রহমান বলেন, প্রথম থেকেই আমি বিষয়টির বিপক্ষে। এলাকাবাসীর স্বার্থে যদি ইজারা বাতিল করে হাসপাতাল করা হয় আমি তাতে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হব। কারণ হাজী মুহাম্মদ মুহসিন যে উদ্দেশ্যে সম্পত্তি দান করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হোক- সেটা কারোরই কাম্য নয়।
ইজারা বাতিল করে এখানে একশ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করার দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, সৈয়দপুর ট্রাস্টের সম্পত্তি ইজারা দেয়া হয়েছে অনেক আগে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এলাকাবাসী এখানে হাসপাতাল করতে আগ্রহী হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা বাতিল করে হাসপাতাল নির্মাণে সহযোগিতা করা হবে।