শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তাসকিনের বোলিংয়ে মুগ্ধ কোর্টনি ওয়ালশ

স্পোর্টস রিপোর্টার : তাসকিনে মুগ্ধ বাংলাদেশের ক্যারিবীয় বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাজে পারফরমেন্স করলেও বাংলাদেশের পেস আক্রমণের প্রশংসা করেছেন এই কিংবদন্তি। যাদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ তাসকিনকে নিয়েই। ভারত সফরে গিয়ে গতকাল কথা বলেছেন বাংলাদেশের ক্যারিবীয় বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তাসকিনকে দলের পেস আক্রমণের নেতা হিসেবে দেখছেন সাবেক এই পেসার। তাসকিনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাসকিনের বোলিংয়ে গতি আছে। তরুণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে অনেক শক্তি। বলতে গেলে এক কথায় বারুদ ঠাঁসা।
দিনটি যদি ওর হয় তাহলে সেদিন অধিনায়কের স্বপ্ন পূরণ হবেই।’ টেস্টে বাংলাদেশের শক্তিমত্তা সম্পর্কে অবগত আছেন ওয়ালশ। বিশেষ করে কম খেলার কারণেই টেস্ট সংস্করণে সেভাবে বিকাশ পায়নি বাংলাদেশ দল। এর কারণ হিসেবে কম টেস্ট খেলাকেই দায়ী করছেন বাংলাদেশ ওয়ালশ। ওয়ালশ বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে অনভিজ্ঞতা। সেভাবে ওরা টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি। তাই এক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার চেষ্টা চলছে। বোর্ড তাদের জন্যে কাজ করছে। আমার মনে হয় এটা সঠিক দিকেই যাচ্ছে। ঘরের বাইরে ওদের আরও বেশি খেলা উচিত।’ ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টকে তাসকিনের অভিজ্ঞতা অর্জনের উপলক্ষ হিসেবে দেখছেন ওয়ালশ।
 তিনি বলেন, ‘এই খেলা ওর অভিজ্ঞতা আরও বাড়িয়ে দেবে। আমার ধারণা, অভিজ্ঞতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে ওর আত্মবিশ্বাস বাড়লে একদিন শীর্ষে পৌঁছবেই। আর ও যেভাবে পরিশ্রম করছে, তাতে আমি সত্যিই খুশি।’ পেসারদের জন্য বেশিরভাগ সময়ই দুঃস্বপ্ন ভারতের উইকেট। অথচ এখানেই ওয়ালশ ছিলেন ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্ন। ভারতে ৭ টেস্ট খেলে উইকেট ৪৩টি। ভারতের মাটিতে তার বোলিং গড় ও স্ট্রাইক রেট নিজের ক্যারিয়ার গড় ও স্ট্রাইক রেটের চেয়ে ঢের ভালো। ভারতে ৩০টির বেশি উইকেট নেয়া পেসারদের মধ্যে ওয়ালশের গড় (১৮.৫৫) ও স্ট্রাইক রেট (৩৮.৭) পেসারদের মধ্যে ইতিহাসের সেরা। ওয়ালশ জানেন, ভারতে কিভাবে বোলিং করতে হয়। তবে এখন তো আর সবকিছু নিজের হাতে নেই। শিষ্যদের শেখাতে পারেন। তারা সেসব ২২ গজে করতে না পারলে কিছুই করার নেই। যেমনটি হলো প্রস্তুতি ম্যাচে। তবে হতাশা তো আর প্রকাশ্যে জানাতে পারেন না। বাংলাদেশের পেসারদের আগলেই রাখলেন অভিভাবক হয়ে। জানালেন ভারতে পেসারদের কাজ কতটা কঠিন। তিনি বলেন, ‘তরুণ ফাস্ট বোলারদের জন্য কাজটি খুবই কঠিন। উইকেট যে রকম পাব আমরা, সেভাবেই মানিয়ে নিতে হবে। ওদের জন্য এটি হবে খুবই ভালো অভিজ্ঞতা।
এই অভিজ্ঞতার অভাবটাই আপাতত বাংলাদেশের পেসারদের সবচেয়ে বড় ঘাটতির জায়গা।’ নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের  পেসারদের পারফরমেন্স ছিল দারুণ। বোলিং কোচের বিশ্বাস, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এখানেও। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ওরা দারুণ ছিল। কাজ এগিয়ে চলছে। এটাও ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ। ওখানে  যে অভিজ্ঞতা ওরা অর্জন করেছে, সেটা এখানেও সাহায্য করবে। একটা বড় সমস্যা হলো অনভিজ্ঞতা।
ওরা খুব বেশি টেস্ট খেলেনি। যত খেলবে, তত শিখবে।’ ওয়ালশ নিজেও জ্বলে উঠেছেন ক্যারিয়ারের পরের ধাপে। প্রথম ৬৩ টেস্টে ৫ উইকেট ছিল ৫ বার। পরের ৬৯ টেস্টে নিয়েছেন ১৭ বার। ওয়ালশের শিষ্যদের জন্য অবশ্য এই সংখ্যাগুলোই স্বপ্নের মতো। তবে আপাতত সামনেই হায়দরাবাদ টেস্ট। এখানে যদি কিছুটা ভালো করা যায় সেটাই হবে বড় পাওয়া।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ