বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সুুন্দরবনে নতুন বাহিনী কোপা সামছু

খুলনা অফিস : সুন্দরবন এলাকায় নতুন দস্যুর আগমন ঘটছে। আবার নতুন নামে বাহিনীও গড়ে উঠছে। রোববার রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন দাকোপ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক পাঁচ দস্যুর চারজনই নতুন মুখ। এরা দস্যু প্রধান সামছু ওরফে কোপা সামছু বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. এ এম জাহিদুল কবীর বলেন, দাকোপ থেকে আটক বনদস্যুদের মধ্যে মো. মোতাহার হোসেন (মোতা) পুড়নো দস্যু। আর মো. রায়ফুল ইসলাম (রাজু), মো. এনায়েত হোসেন (এনায়েত), মো. মিজানুর রহমান (মিজান) ও মো. আনোয়ার শেখ (৬০) নতুন মুখ। এই চারজন সামছু বাহিনীতে নতুন যোগদান করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে নিত্য নতুন দস্যু বাহিনীর অবির্ভাব ঘটছে। এ কারণে সুন্দরবনের দস্যু বাহিনীর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন। তবে সামছু, মিন্টু, নান্নু, আলিম, আফজালসহ বিভিন্ন নামের বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। সামছু বাহিনী সুন্দরবনের আন্দারমানিক, আড়–য়া খাল, দাকোপ ও মংলা এলাকায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এই বাহিনীতে ১০-১২ জন্য সদস্য রয়েছে। যার অধিকাংশই নতুন মুখ।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ ভাল পথে আসার জন্য দস্যুদের আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেয়া হলেও এরা সে সুযোগ গ্রহণ করছে না। কারণ সুন্দরবন এলাকায় দস্যু বাহিনীর অর্থ পাওয়ার অনেক অবৈধ উৎস রয়েছে। যা দস্যুদের আকৃষ্ট করছে। এ কারণেই নতুন মুখের দস্যুর আবির্ভাব ঘটছে।
র‌্যাব-৬ সূত্রে জানা গেছে, ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ খ্যাত সুন্দরবন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ বনাঞ্চলকে কেন্দ্র করে জেলে, মাওয়ালী থেকে শুরু করে নানা পেশাজীবীর মানুষ বসবাস এবং জীবিকা নির্বাহ করে। সুন্দরবন এলাকায় দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা, ডাকাতি ও দস্যুতা দমনের জন্য সরকার কর্তৃক একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের আওতায় র‌্যাব-৬ খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সুন্দরবন এলাকায় জলদস্যু ও বনদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ সব এলাকায় দুর্ধর্ষ বাহিনীগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ দস্যুতা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন বাহিনীর বিরুদ্ধে র‌্যাব-৬ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ মে থেকে এ পর্যন্ত সুন্দরবনের ৮টি বাহিনীর ৭২ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। এরা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে। আত্মসমর্পণকৃতদের মধ্যে ৩৪ জন ইতোমধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তবে, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত তাদেরকে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি। গত ৭ জানুয়ারি ৬০ দস্যু পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ও একটি করে কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ