শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যায় চাচাত ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার দেবীদ্বারের কামারচরে ইঞ্জিনিয়ার আবু ইউসুফ খান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী পারভেজকে(১২) অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় চাচাত ভাই মো. আল-আমিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে সরকার পক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী এটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ এবং আসামী পক্ষে সরকার নিযুক্ত কৌশলী এস এম শফিকুল ইসলাম শুনানি করেন।
২০১২ সালে ৩১ জানুয়ারি আল-আমিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ। ২০১০ সালের ৫ নবেম্বর জুমার নামাযের পর পারভেজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনার কয়েকদিন পরই পারভেজের মা জোছনা বেগম থানায় জিডি করেন। পরবর্তী সময়ে পারভেজের চাচাত ভাই আল-আমিন থানায় হাজির হয়ে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেন।
জবানবন্দীতে আল-আমিন বলেন, ১০০ টাকার লোভ দেখিয়ে পারভেজকে দীঘির পাড়ে নিয়ে যাই। বিকালে সেখানে পারভেজ আসার পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে তার গলা চেপে হত্যা করি। হত্যার পর লাশ পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতের সীমানায় রেখে আসি। পারভেজ সম্পর্কে আমার জ্যাঠাত ভাই হয়। ঘটনার দুই দিন পর পারভেজের মায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমিও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি চেপে গিয়ে তাদের সঙ্গে পারভেজকে খুঁজতে বের হই। ওইদিন রাত ১০টার সময় পারভেজের লাশ কাঁধে নিয়ে ধানক্ষেতের সীমানা থেকে দীঘির পাড় বিলের মধ্যে রেখে আসি। কিন্তু তারপর থেকে আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারছিলাম না। পরদিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পারভেজের বাড়িতে একটি চিঠি দিই। এরপর মানসিক অস্থিরতার কারণে থানায় গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলি পুলিশকে। তারা আমাকে সঙ্গে নিয়ে পারভেজের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কুমিল্লার জেলা দায়রা জজ এ আর মাসুদ ২০১২ সালে ৩১ জানুয়ারি আল-আমিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আল-আমিন। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ