শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

হাদিস পার্ক সৌন্দর্য হারাচ্ছে

খুলনা অফিস : যত্রতত্র লাগানো হয়েছে ফেস্টুন। প্রধান ফটকগুলোর আশপাশে শোভা যাচ্ছে বিশাল বিশাল বিলবোর্ড।
বাইরে থেকে ভেতরের দৃশ্য দেখার উপায় নেই। আবার পার্কের বাতি থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে ফেস্টুনগুলো লাইটিং করা হচ্ছে। ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ময়লা। বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও পার্কের  কোনায় প্রস্রাব করছে একশ্রেণীর বখাটেরা। এসব কারণে নষ্ট হচ্ছে হাদিস পার্কের সৌন্দর্য।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ কোটি টাকা দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের পর পার্কটি বছর দুয়েক আগে জনসাধারণর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। নতুন রূপে মানুষের বিনোদনের অন্যতম জায়গা হিসেবে এখন পরিচিত পেয়েছে খুলনার ঐতিহ্যবাহী হাদিস পার্ক। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন পার্কে।
ঘুরে বেড়াচ্ছেন পুকুরের চারপাশে, কিন্তু আগত দর্শকেরা ময়লা-আবর্জনা ও খাদ্যবর্জ্য ফেলে নষ্ট করছেন পার্কের পরিবেশ।
পার্ক ঘুরে দেখা  গেছে, পার্কে প্রবেশের আগেই বিরক্ত হচ্ছেন নগরবাসী। প্রতিটি প্রবেশদ্বার রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্যানার ফেস্টুনে ঢাকা পড়ে গেছে। ভেতরেও লাগানো হয়েছে ফেস্টুন। অনেকে সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজেদের ব্যানারে আলোকসজ্জা করছেন। রাজনৈতিক নেতাদের ছবি ব্যবহার করায় এগুলো খুলতে পারছে না কেসিসি।
সূত্রটি জানায়, পার্কের দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ভেতরে একটি পাবলিক টয়লেট স্থাপন করেছে কেসিসি। কিন্তু সেখানে না গিয়ে পার্কের কোনো প্রস্রাব করছে একদল মানুষ।
এতে দুর্গন্ধের কারণে ওই পাশ দিয়ে হাটা যাচ্ছে না। প্রস্রাব করা বন্ধ এবং দর্শনার্থীদের জন্য পার্কের কোনো একটি ফুডকোর্ট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রটি জানায়, পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থারও গা-ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যায়।
পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, পুকুরের চারপাশে বেড়ে গেছে বখাটে ও অনাকাক্সিক্ষত লোকদের আড্ডা। নজরদারি না থাকায় সেখানে অশালীনভাবে মেলামেশা করতে দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের। এতে বিব্রত অবস্থায় পড়েন অন্যরা।
বিকেলে ফোয়ারার পাশ থেকে চিপসের প্যাকেট, মুড়ি মাখার ঠোঙ্গা ফেলা হচ্ছে পুকুরের পানিতে। তাদের কেউ বাধাও দিচ্ছে না। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি নাগরিকদের।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ