‘আগামিতে সমাবেশ করতে অনুমতির জন্য বসে থাকবে না বিএনপি’
স্টাফ রিপোর্টার : আগামীতে রাজধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি অনুমতির জন্য অপেক্ষা করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে এই উদ্যান কেড়ে নিয়ে হলেও সমাবেশ করা হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে রিজভী এই হুঁশিয়ারি দেন। বরিশালে বিএনপির ৫ জানুয়ারির কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ জানুয়ারি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। তবে পুলিশ এই সমাবেশের অনুমতি দেয়নি এবং এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্যও দেয়া হয়নি। পরে বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। সেখানেও অনুমতি মেলেনি পুলিশের পক্ষ থেকে। এর আগে ৭ নবেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। তখনও পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি মিলেনি। শেষ পর্যায়ে এসে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বিভিন্ন শর্তে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। তবে এই শর্তে সমাবেশ করেনি দলটি।
গতকালের মানববন্ধনে রিজভী বলেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে বার বার আবেদন করেছি, কিন্তু আমাদেরকে দেয়া হয়নি। সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে এরশাদের মতো রাজাকারদের। তাই ভবিষ্যতে সমাবেশ করার জন্য বিএনপি পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করবে না, কেড়ে নেয়া হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এই সরকারের কাছ থেকে অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র নয়, বিএনপির নেতাকর্মীদের রক্ত চান মন্তব্য করে রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের লাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শেখ হাসিনা আনন্দিত হন, উল্লাস করেন। বর্তমান অবৈধ সরকারের শামনকালে প্রকৃত অপরাধীরা সব সময় প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছেন। যার কারণে, তনু, মিতু, সাগর- রুনিসহ কোনো হত্যাকাণ্ডে বিচার হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে ১/১১ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছিল একটি অগণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে। তিনি আরো বলেন, ৫ জানুয়ারি দেশের বেশির ভাগ মানুষ ভোট দেয়নি। তাই সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চাইলে তার কণ্ঠ রোধ করা হয়।
মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি নূরজাহান ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ আরো অনেকে।