ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

বিপদে পড়া মানুষকে উদ্ধারে পাঠানো হবে ড্রোন

অনলাইন ডেস্ক : ধরা যাক কোথাও একটি সন্ত্রাসবাদী হামলার মুখে পড়েছেন কেউ। অথবা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দূর্গম এলাকায় কেউ আটকে পড়েছেন। এরকম অবস্থায় তার কাছে উড়ে এলো একটি ড্রোন। দূর্গত মানুষটিকে নিয়ে আকাশে উড়লো ড্রোনটি। দূর নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় যানটি বিপন্ন মানুষটিকে পৌঁছে দিল নিরাপদ জায়গায়।

শুনতে বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনি মনে হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলি একটি কোম্পানি এরকম একটি ড্রোন তৈরি করে গত নভ্ম্বেরে এর সফল পরীক্ষা শেষ করেছে। তাদের আশা, ২০২০ সাল নাগাদ এটি ব্যবহারের জন্য বাজারে ছাড়া যাবে।

গত পনের বছর ধরে করমোরন্ট নামের এই ড্রোনটি তৈরির জন্য অর্থ ঢালছে এক ইসরায়েলি কোম্পানি। প্রায় এক কোটি চল্লিশ লাখ ডলার খরচ করে যে ড্রোনটি তারা তৈরি করেছে সেটি পাঁচশো কেজি পর্যন্ত মাল বহন করতে পারবে। এটি ঘন্টায় একশো পনের মাইল পথ পাড়ি দিতে পারবে।

আর সবচেয়ে বড় কথা এই ড্রোনটি আকাশে উড়তে পারবে খাড়াভাবে। আর এর রোটরগুলো থাকবে বডির ভেতরে। ফলে বড় বড় শহরের উঁচু দালানকোঠার ফাঁক দিয়ে বা বিদ্যুতের লাইনের নীচে দিয়ে এটি উড়ে যেতে পারবে।

আরবান এরোনটিকস নামের কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী রাফি ইয়োলি বলেছেন, এখন এই ড্রোনটিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পথ খুলে গেল।

বাণিজ্যিক ড্রোন এখন বড় ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে। আমাজন ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে তারা ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে পণ্য পৌঁছে দেবে মানুষের বাড়ি বাড়ি।

চীনের একটি কোম্পানিও তাদের তৈরি একটি ড্রোনের সফল টেস্ট ফ্লাইট চালিয়েছে।

লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের এরিয়েলে রোবোটিক্স ল্যাবের পরিচালক ড: মিরকো কোভাচ বলেন, এধরণের ড্রোনগুলোকে নিরাপদ করার জন্য আরও অনেক কাজ বাকী। কিন্তু যখন এগুলো বাজারে আসবে, তখন শহরগুলোতে মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটে যাবে। দ্রুত আকাশপথে এভাবে ব্যক্তিগত ড্রোনে যাতায়ত তখন সাধারণের আয়ত্বের মধ্যে চলে আসবে।

ইম্পিরিয়াল কলেজের আরেকজন ড্রোন বিশেষজ্ঞ রবি বৈদ্যনাথন বলেন, নীচুতে উড়তে পারে এমন যন্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে ইসরায়েলি কোম্পানির এই সাফল্য একটা মাইলফলক হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে এগুলোকে সামরিক কাজে বা উদ্ধার কাজে ব্যবহারের লক্ষ্যটি সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরে এর অসামরিক ব্যবহারও শুরু হবে। তবে সেটা নির্ভর করবে এসব ব্যবহারের নিয়ম-নীতি এবং আইন-কানুন কত দ্রুত তৈরি করা যায় তার ওপর। সূত্র: বিবিসি বাংলা। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ