শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পাঁচমিশালি স্বাস্থ্যকথা

সাজিনা কেন খাবেন?
সাজিনার পাতা ও ফল সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ সাজিনার রয়েছে বহু ওষুধী গুণ, যেমন-
১। সাজিনা দুর্বল হাড় শক্ত করে।
২। রক্তকে পরিশুদ্ধ করে।
৩। প্রতি আউন্স সাজিনায় চার গ্লাস দুধের সমপরিমাণ ক্যালসিয়াম, সাতটি কমলালেবুর সমপরিমাণ ভিটামিন সি এবং তিনটি কলার সমপরিমাণ পটাসিয়াম রয়েছে।
৪। সাজিনায় গাজরের তুলনায় চারগুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা চোখের জন্য ভালো এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী।
৫। সাজিনায় পুঁইশাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন রয়েছে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে খাবার
যেসব খাবার ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে সেগুলো হচ্ছে, সব ধরনের সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল, যেমন- টমেটো, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সাজিনা, লাউশাক, কুমড়াশাক, আমলকি, লেবু, সীম খেজুর, কিসমিস, তরমুজ, আনারস ইত্যাদি।
তাছাড়া আঁশজাতীয় খাবার, স্পিরুলিনা, মধু, টক দই, ইত্যাদিও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
যক্ষ্মা হয়েছে বলে সন্দেহ করুন, যদি-
১। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি
২। কাশিতে রক্ত থাকে
৩। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বুকে ব্যথা
৪। তিন সপ্তাহের বেশি দিন ধরে জ্বর
এসবের যে কোন একটি লক্ষণ থাকলে রোগীর থু থু অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে।
এপেনডিসাইটিস চিনবেন কিভাবে
১। পেটের মাঝামাঝি স্থানে ব্যথা শুরু হয় এবং নিচের পেটের ডানদিকে স্থানান্তরিত হয়
২। হাঁটার সময় ডানদিকে বর্ধিত ব্যথা এবং চাপবোধ
৩। বমি, বমি বমি ভাব, অথবা ক্ষুধা কমে যাওয়া
৪। জ্বর অথবা অবসাদ
৫। ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য।
যে কারো এপেনডিসাইটিস হতে পারে। উপসর্গ দ্রুত দেখা দিতে পারে কিংবা এক বা দু’দিনের মধ্যে দেখা দিতে পারে।
প্রোস্টেট ক্যান্সার ঝুঁকি কমায় যে সব খাবার
১। টমেটো ও টমেটোজাত খাবার
২। সবুজ চা
৩। রসুন, ব্রুকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি।
৪। ওমেগহা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন-মাছের তেল মনে রাখবেন, প্রাণীজ চর্বি এবং মাংস খাবারে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন
গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মাড়ি ফুলে রক্তপাত হয়। তাই এ সময় মাড়ির যতœ প্রথম থেকেই নেয়া উচিত। কেবল সকাল বা রাত নয়, প্রতিবার খাবার পর দাঁত মাজা উচিত। দাঁত খারাপ থাকলে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন দুধ, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ ইত্যাদি খাওয়া উচিত। মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে ভিটামিন সি ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়।
মোটা হওয়ার কারণ
১। বংশগত প্রবণতা
২। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ
৩। শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা
৪। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
৫। কোমল পানীয় এবং অ্যালকোহল মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক রোগের উপসর্গ
১। অলীক বা অস্বাভাবিক প্রত্যক্ষণ, যেমন-গায়েবী কথা শোনা।
২। চিন্তার জগতে গ-গোল, যেমন-ভ্রান্ত বিশ্বাস।
৩। অনর্গল কথা বলা কিংবা খুবই কম কথা বলা অথবা কোন কথা না বলা।
৪। আচরণে অস্বাভাবিকতা, নিজেকে নিজের ভিতর গুটিয়ে নেয়া, পরিবেশের প্রতি উদাসীন থাকা।
৫। কোন কারণ ছাড়া হাসতে বা কাঁদতে থাকা।
৬। অহেতুক ভীতি, অস্থিরতা, বিরক্তি, স্মৃতিশক্তির গন্ডগোল, ঘুমের ব্যাঘাত, যৌন অক্ষমতা ইত্যাদি আবেগজনিত গণ্ডগোল।
(৭) মনে আনন্দ না থাকা, অশান্তি, গ্লানিতে ভোগা, হতাশা, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি।
মানসিক রোগের এসব সাধারণ উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
জবার ঔষধী গুণ
১। জবা ফুল পেষণ করে খেলে নারীর ঋতু লাভ হয়।
২। জবা রজঃরোধ ও বিলম্বিত ঋতুতে উপকারী
৩। ফুল অতিরিক্ত ঋতুস্রাব নিবারিত করে
৪। জবার শিকড় সর্দি-কাশির জন্য উপকারী
৫। জবা পাতার রস মাথার চুল বড় করে এবং টাকরোধ করে।
-আইএইচএমআর ফিচার

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ