বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রূপগঞ্জে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা

রূপগঞ্জ : হামলার পর আহত মহিলা লীগ কর্মীরা এভাবেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে -সংগ্রাম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অন্তত ২৫ জন মহিলা লীগ কর্মীকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর নিলা মার্কেটে ঘটে এ ঘটনা। কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় ছবি ভাংচুর করার অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নিলা।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই বিতরণ করছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নিলা। বই বিতরণ অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ মহিলা লীগ নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নিলাসহ তার লোকজনের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আলমাছ মেম্বারসহ তার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিলো।
বই বিতরণের শেষ পর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে আলমাছ মেম্বারের নেতৃত্বে মাসুম মিয়া, আনোয়ার পাগলা, মুজা মিয়া, সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, সালাউদ্দিন, কবির হোসেন, সামসুল হক, মজনুসহ ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিলা মার্কেটে অবস্থিত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নিলার কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ দলীয় ছবি ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে হামলায় কার্যালয়ে উপস্থিত মহিলা লীগ কর্মী লাকি বেগম, মনোয়ারা বেগম, রেহেনা বেগম, সাকিরুন, পারুল আক্তার, দিপালী, মাসুদা আক্তার, আনোয়ারা বেগম, লাইলি বেগম, হেলেনা বেগম, পারভিন আক্তার, মোসাম্মত বেগম, বিলকিস, খাদিজা আক্তার, ফেরদৌসি আক্তার, হেলেনা আক্তার, রত্নাআক্তার, উম্মে হানি, হাসি বেগম, সাথী আক্তারসহ অন্তত ২৫ জন মহিলা লীগ কর্মী আহত হন । আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, হামলা চলাকালীন সময়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয় স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এতে করে রাজধানীসহ আশ-পাশের এলাকায় আগত নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে শিশু কিশোররা ছুটাছুটি করতে শুরু করেন। দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীদের মহড়ায় পুরো নিলা মার্কেট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার বিপুল পরিমান পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত মহিলালীগ কর্মীরা অভিযোগ করে জানান, তাদের শুধু লাঠিপেটায় নয়, শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটানো হয়েছে। তারা হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন। 
তবে প্রতিপক্ষ আলমাছ মেম্বার ও আনোয়ার পাগলা জানান, প্রধানমন্ত্রীসহ দলীয় ছবি ভাংচুরের বিষয়টি মিথ্যা। ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজনই ভাংচুর করে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এছাড়া মহিলালীগ কর্মীরা স্থানীয় দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। এর প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পাল বলেন, দলীয় কার্যালয়ে যারা মহিলালীগ কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে গোপণাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাত করে আহত ও শ্লীলতাহানি করেছে, তাদের কঠিন বিচার করতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অব্যশই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ