বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নতুন আবিষ্কার : টমেটো ভ্যাকসিন

আখতার হামিদ খান
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী চার্লস আর্নটজেন গত পাঁচবছর ধরে চেষ্টা করছেন টমেটোর রস দিয়ে এমন একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে যা দিয়ে ডায়রিয়ার মতো ভয়ঙ্কর রোগ নির্মূল করা সম্ভব। ডায়রিয়ায় সারাবিশ্বে প্রতিবছর বিশ লাখ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তবে সাধারণ টমেটো দিয়ে আর্নটজেনের ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার ই কোলাই ব্যাকটেরিয়াম আছে এমন টমেটো। এ ব্যাকটেরিয়াম দিয়ে একটি বিশেষ টমেটো। এ ব্যাকটেরিয়াম দিয়ে একটি বিশেষ প্রোটিন তৈরি করা হবে যা ভ্যাকসিন হিসেবে কাজ করবে। এ ভ্যাকসিন শরীরে ঢুকে ডায়রিয়ার জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করে তাকে মেরে ফেলবে। ডায়রিয়ার যেসব ভ্যাকসিন পাওয়া যায় সেগুলোর উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। আর্টজেন মূলত তৃতীয় বিশ্বের দেশ, বিশেষ করে ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশের চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের জন্য তার ভ্যাকসিন তৈরি করছেন। আর যে টমেটোর রস দিয়ে এ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে, সে জাতের টমেটো এসব দেশে সহজেই চাষ করা সম্ভব। ফলে স্থানীয়ভাবে, কম খরচে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আর্নটজেন তার টমেটো ভ্যাকসিন এ বছরেই পশুদেহে প্রয়োগ করে দেখবেন। শুধু ডায়রিয়া নয়, কলেরা হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগের চিকিৎসার জন্যও ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চিন্তাভাবনা করছেন আর্নটজেন। তবে তিনি একা নন, আরও চার ডজন গবেষণাগারে এ নিয়ে কাজ চলছে। শুধু টমেটো নয়, কলা এবং আলু দিয়েও ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। আশা করা যায়, কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের ভয়ঙ্করতম কিছু রোগের চিরতরে ধ্বংস ঘটবে এসব ভ্যাকসিন চিকিৎসার দৌলতে।
নিরাপত্তা সিঁড়ি
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে বিপদের সময় আকাশ ছোঁয়া দালান থেকে কীভাবে দ্রুত এবং অল্প সময়ে নিচে নেমে আসা যাবে। এ সমস্যার একটা সমাধানও মিলেছে। AMES-1 নামে একটি ইভানুকয়েবান সিস্টেম, সেটি দেখতে অনেকটা বিনোদন পার্কের ওয়াটার স্লাইডের মতো, এর সাহায্যে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে উঁচু উঁচু বিল্ডিং থেকে নিচে নেমে আসা সম্ভব। এ জিনিস বসানো থাকবে দালানের বাইরের দেয়ালে। ইমার্জেন্সির সময় খুলে যাবে ইউনিট স্প্রিং হঠাৎ করে মাটিতে নেমে আসবে সরু, ঢালু পথটা। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এ ধরনের ওয়াটার স্লাইডে এগারতলা দালান থেকে মাটিতে নেমে আসতে মাত্র উনিশ সেকেন্ড সময় লাগে। আমাদের দেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে এ সিস্টেম অবিলম্বে চালু করা উচিত, গার্মেন্ট কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য। একেকটি ইভাকুয়েশন সিস্টেমের দাম কুড়ি হাজার ডলার। বিস্তারিত খোঁজ নিতে পারেন www.ames-1.com।
খুঁজে বের করে ধ্বংস করা
সারা পৃথিবীতে, মাটির নিচে শিকারের জন্য ওঁৎ পেতে আছে মরণঘাতী ল্যান্ড মাইন। প্রতিদিন এ মাইনের শিকার হয়ে কত মানুষ যে মারা পড়ছে, আর প্রাণে বেঁচে যাওয়া হতভাগারা বিস্কোরণে হাত-পা হারিয়ে বিকলাঙ্গ জীবনযাপন করছে তার হিসাব নেই। মাটির নিচের এ মরণ ফাঁদ খুঁজে বের করার চেষ্টারও ত্রুটি নেই। ডেভিড সামার্সের এলাডিন নামের যন্ত্রটি এ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেকদূর। মাইন খুঁজে বের করতে এলাডিনকে সর্বোৎকৃষ্ট চিন্তাধারার ফসল বলা যায়। এলাডিন মাইন ফিল্ডে পানি ছুঁড়ে এবং শব্দ মনিটর করে কোথায় মাইন আছে তা খুঁজে বের করতে তো পারবেই, ওটাকে অকেজো করার ক্ষমতাও রাখে। আর এলাডিনের টার্গেটের অভাব হবে না। কারণ বিশ্বজুড়ে যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে লাখ লাখ মাইন ছড়িয়ে আছে।
আর্থ সিমুলেটর
একদল জাপানি ইঞ্জিনিয়ার এমন একটি কম্পিউটার তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা হবে অসম্ভব শক্তিশালী, বিশ্বের ঘটমান সবকিছু নখদর্পণে থাকবে সে যন্ত্রের। বলিভিয়ার বাষ্পীভূত রেইন ফরেস্ট, মেক্সিকোর ধোঁয়া উদগীরণ করা কলকারখানা, জেট স্ট্রিম, গালফ স্ট্রিম, লোকজনের কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সবকিছুর খবর রাখবে এটা। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের অর্থাৎ কম্পিউটারটি তৈরির সাহসও তারা দেখান। ২০০২ সালের ১১ মার্চ তারা এ কাজ শেষ করেছেন। ইঞ্জিনিয়াররা এমন একটি কম্পিউটার তৈরি করেছেন যার শক্তির তুলনা নেই। তারা তাদের আবিষ্কারের নাম দিয়েছেন আর্থ সিমুলেটর।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ