শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আউটসোর্সিং খাতের পরিধি বাড়ছে

জাফর ইকবাল : আউটসোর্সিং-এ সম্ভাবনাময় দেশের কাতারে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বখ্যাত আউটসোর্সিং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ডেস্কের এক র‌্যাংকিং-এ আউটসোর্সিং-এ ঢাকার অবস্থান এখন শীর্ষ কয়েকটি দেশের মধ্যেই রয়েছে। দুই বছর আগেও বাংলাদেশ ছিল তিন নম্বর। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের কর্মপ্রচেষ্টায় র‌্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠে আসে ঢাকার নাম। শুরুর দিকে এটি শুধু শহর কেন্দ্রীক থাকলেও এখন সেটি মফস্বলেও পৌঁছে গেছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এখন আউটসোর্সিং এর দিকে ঝুঁকছে। তবে প্রযুক্তিবিদরা বরছেন, আউটসোর্সিং-এ আমাদের যতটুকু সম্ভাবনা রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটেনি। এর মধ্যে অন্যতম ঘাটতি রয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সচেতনতার বিষয়ে।
ঢাকার অর্ধেক ফ্রিল্যান্সার ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করে প্রতিমাসে প্রায় এক হাজার ডলারের মতো আয় করে থাকে। দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে আউটসোর্সিং কাজের পরিধি। কয়েক বছর আগেও আউটসোর্সিং-এর বৈশ্বিক মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম ছিল না। সেখানে এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, সুলভমূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হলে দ্রুত সমৃদ্ধ হবে আমাদের আউটসোর্সিং সংস্কৃতি। ভারতে এমনকি আমাদের দেশের ছাত্ররাও আউটসোর্সিং কাজ করছে। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধার সুযোগ নেই। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নেই ইন্টারনেট সংযোগ। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা, বিদ্যুৎসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধানমত খাতে পরিণত হতে পারে আউটসোর্সিং খাত।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের আউটসোর্সিং রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও), কো-সোর্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসেস আউটসোর্সিং (ইপিও), ফার্মশোরিং, হোমশোরিং, ইনসোর্সিং, নলেজ প্রসেস আউটসোর্সিং (কেপিও), লিগ্যাল প্রসেস আউটসোর্সিং (এলজিও), নিয়ারশেরিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি আউটসোর্সিং, অফশোর আউটসোর্সিং, অফশোর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, অফশোরিং আইটি সার্ভিসেস, প্রিন্ট এন্ড মেইল আউটসোর্সিং, রিক্রুট প্রসেস, আউটসোর্সিং, সোশিয়ালি রেসপন্সিবল আউটসোর্সিং। বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং কাজের ক্ষেত্র রয়েছে ব্যাপক। ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ওডেস্কসহ অন্য যে কোন আউটসোর্সিং বিষয়ক ওয়েব সাইটে ঢুকলে দেখা যায় বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কাজের ছড়াছড়ি। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এত বেশি কাজের অফার রয়েছে যে আপনি কোনটা ছেড়ে কোনটা করবেন। তবে সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা থাকা চাই।
তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বায়নের এই যুগে কাজের ক্ষেত্র বর্তমানে নিজ দেশ কিংবা নির্দিষ্ট গ-ির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কাজের ক্ষেত্র এখন বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত। বিশ্বায়নের এই যুগে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজের পরিধি এখন নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত। দেশে বসে তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে বৈশ্বিক কাজের বাজার চষে বেড়ানোর ক্ষেত্রে পরিচিত একটি নাম আউটসোর্সিং। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দিন দিন বেড়েই চলেছে আউটসোর্সিং খাতের পরিধি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ আসে প্রবাসে কর্মরতদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। তবে বর্তমানে বিদেশে গিয়ে দৈহিক পরিশ্রম করেই যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে এমন নয়। তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার এই যুগে দেশে বসেই প্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে আউটসোর্সিং।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী কোন কাজ করাকে সাধারণত আউটসোর্সিং বলা হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্স কর্মীদের জন্য অনলাইনে কাজের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। ২০০৪ সালে সাইটটি যাত্রা শুরু করে। অস্ট্রেলিয়া থেকে পরিচালিত এই সাইটটি বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেসে পরিণত হয়েছে। ফ্রিল্যান্সার ডটকমের প্রধান নির্বাহী মাত ব্যারী বলেছেন, ‘আউটসোর্সিং ব্যবসা যে কেউ যে কোন স্থান থেকে করতে পারে। স্বল্পতম সময়ে এই সাইটে কাজ পোস্ট করা যায়। যোগ্য ফ্রিল্যান্সাররা এই কাজ রিসিভ করে সম্পন্ন করতে পারে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার ডট কো ডট এনজেড নামে একটি নতুন সাইট চালু হয়েছে, যা নিউজিল্যান্ড থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এসবের মধ্যে আইটি, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল ফোন এবং আইপ্যাড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট তৈরি, ডিজাইন এবং আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, সেলস এবং মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন ধরনের কাজ হচ্ছে ব্যারী আরে বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সার ডট কমে পোস্টকৃত প্রতিটি কাজে গড়ে প্রায় ৪০টি বিড (নিলাম ডাক) হয়ে থাকে। কোন কোন সময় এর পরিমাণ ৫০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সাইটটির ন্যূনতম প্রজেক্ট মূল্য হচ্ছে ৩০ ডলার এবং যেখানে গড় বিড মূল্য হচ্ছে ২০০ ডলার। ফ্রিল্যান্সার ডট কমে প্রায় ১৮ লাখ নিবন্ধনকৃত গ্রাহক রয়েছে। এই সাইটের বেশিরভাগ কাজ আসে আমেরিকা, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে। নিলামে অংশগ্রহণকারী (বিডার) বেশিরভাগ হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের।
আউটসোর্সিং-এ বিশ্বখ্যাত কয়েকটি ওয়েব সাইটে প্রদর্শিত কাজের শিরোনাম থেকে কাজ করতে পারবেন। ওয়েবসাইট, আইটি এবং সফটওয়্যার বিষয়ক কাজ জানা কর্মীরা এখানে প্রায় ১৫০ ধরনের আলাদা আলাদা কাজের সন্ধান পাবেন। মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটিং বিষয়ে পারদর্শীরা এখান থেকে কাজ নিতে পারেন। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা ১৫ ধরনের কাজের সুযোগ পাবেন। যারা লেখালেখিতে বেশ দক্ষ, তারা এখানে কাজ পেতে পারেন। এখানে ৩৫ ধরনের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক লেখার কাজ পাওয়া যায়। আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা ডিজাইনের কাজ অনেক বেশি পরিমাণে করে থাকে। এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর প্রায় ৫৫ ধরনের কাজ পাওয়া যায। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং জগতে সবচেয়ে বেশি হয় ডাটা এন্ট্রির কাজ। এখানে ডাটা এন্ট্রি সংক্রান্ত ১৫ ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অনুযায়ী আপনিও কাজ করতে পারেন এখানে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিষয়ক কাজের ক্ষেত্র এটি। এখানের কাজের মধ্যে রয়েছে বেশ বৈচিত্র্য। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষতা অনুযায়ী এখানে প্রায় ৪৫ ধরনের কাজ পাওয়া যেতে পারে। প্রোডাক্ট সোর্সিং এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং এ কাজের পরিধি কিছুটা সীমিত। পণ্যের উৎপাদন বিষয়ক বিভিন্ন কাজ থাকে এখানে। প্রায় ৬ ধরনের কাজ পাওয়া যায় এখানে। সেলস এন্ড মার্কেটিং ব্যবসা-বাণিজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দিন দিন বাড়ছে এই খাতের পরিধি। এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ১৬ ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং আইন সংক্রান্ত বিষয়ের কাজ পাওয়া যায় এখানে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের প্রায় ৩০ ধরনের কাজ পাওয়া যায় এখানে।
বিজ্ঞানের এই যুগে পুরুষদের পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে নেই নারীরাও। ইন্টারনেট আউটসোর্সিংয়ে ছেলেদের পাশাপাশি নড়াইলের মেয়েরাও সমানতালে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে। আর এই কাজে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো তাদের সহায়তা করছে। এক হিসেবে দেখা য়ায়, ২০১২ সাল থেকে নড়াইলে এই সংস্থার আইটি কর্মীরা এখন পর্যন্ত এই কাজ করে যাচ্ছে। প্রথমে নিজেদের অর্থে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলেও ২০১৪ সাল থেকে স্থানীয় সংস্থা নবান্ন এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এই কাজে সহযোগিতা করছেন। বর্তমানে  জেলার প্রায় ৬০০ যুবক এই পেশায় জড়িত থেকে মাসে গড়ে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এলাকার আইটি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৩০ টি  ছোটবড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত পেশা, যার মাধ্যমে একজন দক্ষ লোক যেকোনো জায়গায় থেকে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারে। আমাদের শিক্ষিত সমাজ অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ৬-৭ বছর আগেও তেমন দেখেনি, কিন্তু বর্তমানে এখন এটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। সঠিক ধারণা ও জ্ঞান থাকলেই যে কেউ তৈরি করে নিতে পারে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আপনি যদি অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। কঠোর পরিশ্রম ও খুব ভালো মানের যোগ্যতা এবং ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনাকে সফলতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দ্বিতীয় সুযোগ বলে কিছু নেই, একটু আলসেমির কারণে কাজ একটু খারাপ হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আপনাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়া হবে না। আপনার যোগ্যতা যদি ১০০-তে ৯৯ হয় তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যোগ্য লোক নন। আপনার যোগ্যতা ১০০-তে ১০০ হতেই হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এ ক্লায়েন্টরা ‘মনে হয়’ ‘পারব’- এ ধরনের মতবাদে বিশ্বাসী নয়। আপনার কাছে তারা দু’টো উত্তর শুনতে চাইবে তা হল ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’। হ্যাঁ উত্তর আপনি তখনি দিতে পারবেন যখন আপনার যোগ্যতা ১০০তে ১০০ থাকবে এবং আপনি আত্মবিশ্বাসী হবেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকা আবশ্যক। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংয়ে বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট বিদেশি সেহেতু তাদের সঙ্গে ইংরেজিতেই কথোপকথন করতে হবে। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে  যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে আপনি কোনো কাজই সফলভাবে করতে পারবেন না কারণ তার কাজের দরকারি জিনিসগুলো বুঝতে পারবেন না। ইংরেজিতে কথা বলতে ও লিখতে দু’টোতেই পারদর্শী হতে হবে।
আউটসোর্সিং সংক্রান্ত কিছু শব্দ সংক্ষেপ: এভিএল (অ্যাপ্রোভড ভেন্ডর লিস্ট), বিওএম (বিল অব ম্যাটেরিয়ালস), সিএআর (আরেক্টিভ অ্যাকশন রিকোয়েস্ট), ডিএফএম (ডিজাইন ফর ম্যানুফ্যাকচারিং), ডিএফটি (ডিজাইন ফর টেস্ট), ইএমএস (ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস), ইসিও (ইঞ্জিনিয়ারিং চান্স অর্ডার), এফপিওয়াই (ফার্স্ট-পাস ইয়েল্ড), আইপি (ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি), জেডিএম (জায়েন্ট ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচারার), জেএসএ (জয়েন্ট সার্ভিস এগ্রিমেন্ট), এমএসএ (ম্যানুফাংচারিং এন্ড সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট), এনআরই (নিউ প্রোডাক্ট ইন্ট্রোডাকশন), ওডিএম (অরিজিন্যাল ডিজাইন ম্যানুফেকচারার), ওইএম (অরিজিন্যাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার), পিপিএন্ডই (প্লান্টস, প্রোপার্টি এন্ড ইকুইপমেন্ট), আরইকিউ (রিকোয়েস্ট ফর কোট), আরওআইসি (রিটার্ন অন ইনভেসটেড ক্যাপিটাল), টিটিএম (টাইম টু মার্কেট), টিটিভি (টাইম টু ভলিউম), ভিএমআই (ভেন্ডর ম্যানেজড ইনভেন্টরী), ভিপিএ (ভলিউম প্রাইস এগ্রিমেন্ট)।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ