শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বন্ধ পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া গার্মেন্টস শ্রমিক নেতাদের মুক্তি দাবি করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র । আন্দোলনকারী শ্রমিকদের নামে করা মামলা ও ছাঁটাইয়ের নোটিশ প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ ঘোষণা করা সব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এসব দাবিতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি তোলা হয় ও শ্রমিক সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিক নেতা মণ্টু ঘোষ বলেন, বর্তমানে শ্রমিকেরা যে মজুরি পান তাতে তাদের পক্ষে বেঁচে থেকে উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই গত ৫ই এপ্রিল  প্রধানমন্ত্রী ও  শ্রম প্রতিমন্ত্রীর কাছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবিনামা উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সে দাবিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
মন্টু ঘোষ বলেন, শ্রমিকদের ন্যুনতম গণতান্ত্রিক অধিকার, ট্রেড ইউনিয়ন ও দর-কষাকষির অধিকার না থাকায় এ শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় না বসে দমন নীতির পথ বেছে নিয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিকের নামে মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, শ্রমিকের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে এই অচল অবস্থা নিরসন সম্ভব।
মন্টু ঘোষ আরও বলেন, শ্রমিকদের ন্যুনতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া চার হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা এক হাজার টাকা, যাতায়াত ভাতা এক হাজার টাকাসহ সর্বমোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। আশুলিয়ায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে গ্রেফতার হওয়া শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মঈনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি সাদেকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি জিয়াউল কবির, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেএম মিণ্টু প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল রাজধানীর কদম ফোয়ারা, পল্টন মোড় হয়ে মুক্তি ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ