সওজ’র প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি থামিয়ে সড়কটির প্রয়োজনীয় উন্নয়নের দাবি
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবদাদাতা: কুমারখালীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি থামিয়ে অনতিবিলম্বে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের প্রয়োজনীয় উন্নয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ওই সড়ক দিয়ে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ ইবনে আলম হাসান।
এই খবর পেয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়কের কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় তার গাড়ি বহরের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে গাড়ি থামানোর সংকেত দেন কুমারখালী পৌর মেয়র সামছুজ্জামান অরুন। এ সময় পৌর সভার কাউন্সিলরবৃন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সে সময় প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি বহরে থাকা নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে এসে সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা পৌর মেয়রের সাথে কথা বলেন। পরে গাড়ি থেকে নেমে আসেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ ইবনে আলম হাসান। এ সময় পৌর মেয়র সামছুজ্জামান অরুন প্রধান প্রকৌশলীকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়কের দৈন্যদশার করুণ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন এবং সময়ের প্রয়োজনেই এই সড়কটিকে মহাসড়কে উন্নীতকরণসহ অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় উন্নয়নের দাবি জানান। এ ছাড়াও পৌর মেয়র কুমারখালী পৌর সভা এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পৌরসভার আওতাভুক্ত এলাকায় সড়কটি আরো প্রসস্থকরণের দাবি করেন। এ সময় প্রধান প্রকৌশলী বলেন, কিছুদিন হলো মন্ত্রী মহোদয় সড়কটি দেখে গেছেন, আমিও দেখছি। সড়কটির উন্নয়নে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যতো দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়ন করা হবে। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ৪ লেন করার দাবিও তুলে ধরেন স্থানীয়রা। এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দুর্ভোগ লাঘবের জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন হওয়া দরকার, ৪ লেনে উন্নীত করণের বিষয়টি পরবর্তীতে দেখা যাবে।
এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রুহুল আমিনসহ আবুল কাসেম ভূঁইয়া, কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক এই সড়কের দৈন্যদশার চিত্র নতুন নয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এই সড়কটি বেহাল অবস্থায়। কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে খোকসা উপজেলার শেষ সীমানা (কুষ্টিয়া জেলার শেষ) পর্যন্ত মোট ১৩ কিলোমিটার সড়কে বিটুমিন উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে কোন ধরনের পরিবহনই চলাচল করতে পারেনা। লালন শাহ্ পরিবহনের সিইও লিটন আব্বাস বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কারণে একদিকে সময়ের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে, গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে।
চালক আতিয়ার রহমান বলেন, এই সড়কদিয়ে যাতায়াতের সময় প্রয়োজনে ব্রেক করতেও ভয় লাগে। কেননা সড়কের অধিকাংশ স্থানেই আলগা খোয়া উঠে রয়েছে। এ অবস্থায় ব্রেক করলে গাড়ি খাদে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।