খুলনায় ৩৫ একর জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক
খুলনা অফিস : খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের নেতৃত্বে শনিবার সকালে খুলনা বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক এলাকা সরেজমিনের পরিদর্শন করা হয়েছে। কাজীবাছা নদীর তীরে মাথাভাঙা ও জাবুসা মৌজার ৩৫ দশমিক ৮৬ একর পতিত জমির ওপর ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে।
পরিদর্শন শেষে এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। সভায় পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পিডবি¬উডি ও এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীগণ, বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্ববর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতিসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিপুল সংখ্যাক স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সংসদ সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়বে। কাজের সংস্থানসহ বিবিধ উপার্জনের পথ খুলবে। কিন্তু যদি কেউ উন্নয়নের এ সম্ভবানাকে বাধাগ্রস্ত করতে গরীব মানুষকে ব্যবহার করতে চেষ্টা করে তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রস্তাবিত জমির ভিতর অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে জমির আশেপাশে বৈধভাবে অবস্থানরত কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তিনি উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, প্রকৃত ভূমিহীন যাচাই করে খাসজমি নীতিমালা অনুযায়ী তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ইকোপার্ক নির্মিত হলে শুধু খুলনার মানুষই উপকৃত হবে না সারাদেশ থেকে বহু মানুষ বিনোদনের জন্য এখানে আসবে। ইকোপার্ক সংশি¬ষ্ট এলাকায় দোকানপাট-রাস্তা নির্মিত হবে এতে অর্থনৈতিক সচলতা বাড়বে। এলাকাটি জলাভূমির অংশ হওয়ায় এখানে বোটে করে নদী ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে, ফিস একুুরিয়াম, ফিস মিউজিয়াম, পাখির অভরায়ণ্যসহ পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন বিষয়ে ডকুমেন্টারি দেখানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। ইকোপার্কে অন্তর্ভুক্তির জন্য আরও কোন নতুন প্রস্তাব থাকলে অনতিবিলম্বে জেলা প্রশাসনে মতামত প্রদানের জন্য তিনি সবাইকে আহবান জানান।