শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নাসিক নির্বাচনে সরকারি দল ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে নারায়ণগঞ্জে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে বিজয়ের আলামতে ভোটারবিহীন সরকার কী ফন্দি আঁটছেন তা আল্লাহই জানেন। ভোটাররা এখনও ভয়ভীতিমুক্ত হতে পারেনি। সরকার যদি কারচুপি না করে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং না করে তাহলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিৎ করতে তিনি আবারো সেনা মোতায়েনের দাবি জানান। গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, বিএনপি নেতা আসাদুল করিম শাহীন, মুনির হোসেন, বেলাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের ইশারায় ইসির পুরনো চেহারা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, কারণ নাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দলের প্রার্থীরাই সেনা বাহিনী মোতায়েন চেয়েছিল। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব সাহেব সেটিকে অগ্রাহ্য করে নাসিক নির্বাচন নিয়ে একটি গভীর সংশয় সৃষ্টি করেছেন। এতে নারায়গঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ সারা দেশের মানুষ ভাবতে শুরু করেছে যে, নির্বাচন কমিশন নৌকা প্রতীকের পরাজয়ের আভাস পেয়ে ভোট নিয়ে কোন অশুভ কারসাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে কী না? নির্বাচন নিয়ে শাসকদলের লোকজনদের নিয়ে নানাধরনের অনিয়মকে আমলে না নেয়ায় কারসাজির বিষয়টি ভোটারদের মনে আরও ঘনীভুত হচ্ছে । ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ ও নির্বাচনী দায়িত্বে আনসার বাহিনীর নামে দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিয়োগ দেয়ার নানা খবর আমাদের কাছে আসছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবি জানাচ্ছি নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিন। নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতি যাতে না হয় এবং কোন প্রকার প্রভাব খাটানোর সুযোগ যাতে না থাকে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে শাসকদলের ক্যাডারদের দ্বারা জনগণের উপর চাপ, হয়রানি ও ভয়ভীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আমলে না নিয়ে কিংবা পাত্তা না দিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে নির্বাচন কমিশন। ভয়ভীতিমুক্ত, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলো বারবার সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও সরকারি খাঁচায় বন্দী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আবারো দাবি জানাচ্ছি-অবিলম্বে নাসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা  হোক। এই মুহূর্তে বৈধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হউক। সকল ন্যায়সংগত দাবি উপেক্ষা ও অগ্রাহ্য করে সরকারদলীয় প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য নাসিক নির্বাচনে কোন প্রকার কারচুপি হলে, কোন প্রকার ভোট ডাকাতির চেষ্টা হলে, এর প্রতিক্রিয়ায় যেকোন দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ