ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে আপিল বিভাগে তলব

অনলাইন ডেস্ক: আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী সোমবার সকাল ৯টায় তাঁদের সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন—বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি  নিজামুল হক।

ওই দুই সচিব হলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ও ড্রাফটিং পার্লামেন্টারি উইংয়ের সচিব মো. শহীদুল হক।

আদালত আদেশে বলেন, বারবার সময় দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা গেজেট প্রকাশ করেননি। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি আদালতকে বলেন, গেজেট প্রকাশের জন্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এটি তৈরিতে আরো সময় দরকার।

গত ২৪ নভেম্বর সর্বশেষ এই মামলার শুনানি হয়। সেদিন বিধি চূড়ান্ত করতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এক সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। সেদিন আদালত বলেন, শেষবারের মতো সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে বিধি চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে জারি করবেন।

১৯৮৯ সালে সরকার বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কিছু পদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করে। এতে অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে অসংগতি দেখা দেয়। তৎকালীন সরকার এই অসংগতি দূর করার জন্য ১৯৯৪ সালের ৮ জানুয়ারি জজ আদালতের বেতন স্কেল বাড়িয়ে দেয়। প্রশাসন ক্যাডারের আপত্তির মুখে সরকার ওই বেতন স্কেল স্থগিত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মাসদার হোসেনসহ ৪৪১ বিচারক ১৯৯৫ সালে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৯৯৭ সালে হাইকোর্ট পাঁচ দফা সুপারিশসহ ওই মামলার রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ ১৯৯৯ সালে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার ঐতিহাসিক রায়টি দেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ