মুফতি হান্নানসহ দু’জনের আপিলের রায় আজ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ দু’জনের আপিলের রায় দেয়া হবে আজ। এই আপিল রায়ের জন্য আপিল বিভাগের কার্জ তালিকায় এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। আপিলের শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
এর আগে গত ৩০ নবেম্বর প্রথম দিনের শুনানি শেষে ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ।
মুফতি হান্নানের পক্ষে আদালতে ছিলেন মোহাম্মদ আলী। সরকার পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদন্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহালের হাইকোর্টের রায় গত ২৮ এপ্রিল প্রকাশ হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর ১৬৭ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদ- ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর গত ১৩ জুলাই মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এই আপিল গতকাল মঙ্গলবার কার্যতালিকায় আসলে আদালত সংক্ষিপ্তসার দাখিলের নির্দেশ দিলেন।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার শিকার হন। ঘটনাস্থলে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক কামাল উদ্দিন নিহত হন। পুলিশ কনস্টেবেল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান হাসপাতালে। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন। ঘটনার দিনই সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৭ জুন মুফতি আব্দুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম, তার ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। যথাযথ ঠিকানা না থাকায় মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ওরফে খাজার নাম অভিযোগপত্র থেকে প্রথমে বাদ দেয়া হলেও পরে তাকে যুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছর নবেম্বরে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মো. আফজাল রায় ঘোষণা করেন।