শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড কোম্পানির হাইব্রিড ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা সর্বস্বান্ত

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় ইস্পাহানী এগ্রো কোম্পানীর মার্ভেলাস সি এফ ৪৫ হাইব্রীড ফুলকপি চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কার্পাসডাঙ্গার বেশ কয়েকজন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত কপি চাষকরা কৃষক কার্পাসডাঙ্গার ফকির মোহাম্মদ ২ বিঘা ১০ কাঠা জমি, আতিয়ার ২ বিঘা জমি, লিটন ২ বিঘা ১০ কাঠা জমি,প্রান্তোষ ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, আরিফ ২ বিঘা জমি, পলাশ ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, আসান ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি,কলম ১০ কাঠা জমি,মাহমুদ আলী ১ বিঘা ১০ কাঠা জমিতে ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের মার্ভেলাস সি এফ ৪৫ হাইব্রীড ফুলকপি’র বীজ নিয়ে স্থানীয় হোগলার মাঠ,চারা বাগান মাঠ সহ ফকিরাখালের মাঠে চাষ করেন।
জানা গেছে-আনুমানিক মাস তিনেক পূর্বে খালিশপুর এলাকার ফুলকপি ব্যবসায়ী মশিউরের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার এস বি কে ইউনিয়নের বর্জাপুর গ্রামের মিজান বীজ ভান্ডার থেকে তার প্রতিশ্রুতিতে বীজ কিনে নিয়ে আসে এলাকার কৃষকরা।
বিঘা প্রতি ফুলকপি চাষ করতে ১৫ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। তবে কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় আবাদকৃত অন্য জাতের ফুলকপির বাম্পার ফলন হলেও শুধুমাত্র ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের মার্ভেলাস সি এফ ৪৫ হাইব্রীড চাষকৃত ফুলকপির গাছ হয়েছে কিন্তু ফুল ধরেনি।কিছু কিছু ফুল ধরলেও পুরো সবুজ ও অবিক্রিযোগ্য। বর্তমানে এ কপি চাষ করে চাষীদের মাথায় হাত। চাষীরা অভিযোগ করে বলেন-কোম্পানীর লোক চারা বেলায় জমিতে এসে কোম্পানীর সাইনবোর্ড লাগানোসহ খোঁজখবর নেন।তবে কপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফোন দিয়ে জানালে তারপর থেকে তারা আর ফোন ধরেনি এবং এব্যাপারে কোন খোঁজ খবরও নেয়নি।
শেষ পর্যন্ত কোন পথ না পেয়ে ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিজান বীজ ভান্ডারের মালিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ