শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বন্ধ হচ্ছে না ভাইবার ইমো হোয়াটসঅ্যাপস স্কাইপি

স্টাফ রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপির মতো কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার ঘোষণা দিয়ে বেকায়দায় পড়েছে সরকার। গত শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, গত এক বছরে ভয়াবহভাবে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল কমেছে। এ জন্য ইমো, ভাইবারসহ কিছু সামাজিক মাধ্যম দায়ী। সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে। তার এমন বক্তব্যের পরই এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। ফলে বাধ্য হয়েই সরকার তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কৌশল নিয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার বিটিআরসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপির মতো কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার ইচ্ছে নেই সরকারের। এমনকি এসব অ্যাপস নিয়ন্ত্রণের কোনো পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকল প্রকার ‘অভার দ্যা টপ’ অ্যাপস বন্ধে বিটিআরসির উপর সরকারের কোন ধরনের নির্দেশনাও নেই। সম্প্রতি কিছু কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ব্যাপারে বিভ্রান্তিমূলক ও নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে বিটিআরসি নাকি এ ধরনের অ্যাপস বন্ধ করতে যাচ্ছে বা বন্ধের চিন্তা ভাবনা করছে। যা আদৌ সত্যি নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বিগত ২৫ নবেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এই ধরনের অ্যাপসের ভূমিকা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশে কল পরিচালনার চর্চা বা নীতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা বলেছিলেন। স্মার্টফোন বা ওটিটি ব্যবহার করে ভয়েস কর সুবিধা বা অ্যাপস বন্ধের কোন প্রশ্নই সেদিন উত্থাপিত হয়নি এবং বন্ধের বিষয়ে কোন মতামতও ব্যক্ত করা হয়নি। সঙ্গতভাবে কোন পত্রপত্রিকা বা সংবাদ মাধ্যমে এই অ্যাপস বন্ধের সংবাদও প্রচারিত হয়নি। তথাপি কিছু সংবাদ মাধ্যমে ও টকশোতে সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূতভাবে এই ধরনের অ্যাপস বন্ধ করা হচ্ছে মর্মে বিটিআরসির উপর দায় চাপানো হচ্ছে এবং তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে যা কাম্য নয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ