বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পূর্ব আলেপ্পোয় সরকারি বাহিনীর অভিযানে পালিয়েছে হাজার হাজার লোক

২৮ নবেম্বর, বিবিসি : সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব আলেপ্পো অভিমুখে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে দেশটির সরকারি বাহিনী। আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলীয় হানানো জেলা দখলে নেওয়ার এক দিন পর গত রোববার জাবাল বাদ্রো নামে আরেকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণে নেয় সরকারি সেনারা। এখন তারা দ্রুত পার্শ্ববর্তী অন্যান্য এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংঘাতের তীব্রতা এড়াতে সেখান থেকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
আলেপ্পো একসময় সিরিয়ার বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১২ সালে বিদ্রোহীরা এ নগরীর একটা বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই আলেপ্পোতে এটাই বিদ্রোহীদের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
২০১৬ সালের ১৫ নবেম্বর পূর্ব আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিতে নতুন করে এ অভিযান শুরু করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর পূর্ব অংশকে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলা। চলমান অভিযানের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ ইতোমধ্যে আসাদ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অথবা বিদ্রোহীদের দখলে থাকা এলাকাগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছে।
পূর্ব আলেপ্পোতে আনুমানিক দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষের বসবাস। ধারণা করা হচ্ছে, এদের একটা বড় অংশেরই খাবার এবং ওষুধের মজুদ বা সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে।
টুইটারে ব্যাপক জনপ্রিয় সাত বছরের সিরীয় শিশু বানা আলাবেদ। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে বানা আলাবেদ জানিয়েছে, রোববার আলেপ্পোতে তার বাড়িতে বোমা আঘাত হেনেছে। বানা আলাবেদ-এর আরেক টুইটে বলা হয়েছে, ‘শেষ বার্তা। এখন ভারি বোমাবর্ষণ হচ্ছে। যদি আমরা মারা যাই তাহলে বাকি দুই লাখ মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা কর, কারণ তারা এখনও ভেতরে আছে।’
সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দেড় হাজার মানুষকে সরকার নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম অংশে পালিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, নগরীর বিভিন্ন স্থানে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। সরকারি বাহিনী ওই এলাকায় ভারী গোলা বর্ষণ করছে। শনিবার এক দিনেই আলেপ্পোর বেশ কয়েকটি এলাকায় সরকারি বাহিনীর হামলা ও গোলা বর্ষণে অন্তত ১৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া সামরিক বাহিনীর চলমান অভিযানে দুই শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এড়াতে সরকার নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম আলেপ্পোতে এক হাজার ৭০০ জন আশ্রয় নিয়েছে। আর দুই হাজার ৫০০ জন উত্তরাঞ্চলের জেলা শেখ মাখসুদে চলে গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ