বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে খুলনায় চলছে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম

খুলনা অফিস : মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির অনুমোদন ছাড়াই ক্ষুদ্র ঋণের নামে খুলনা মহানগরীতে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে সমাজসেবা আর সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধনধারী ও কোন প্রকার নিবন্ধন না নেয়া এনজিও রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের অধিক সুদের ঋণের জালে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৫-৩০ জন নারীকে নিয়ে গ্রুপ গঠন করে সদস্যদের সঞ্চয় নেয়ার নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বিপুল অর্থ। এনজিও ভেদে সদস্য প্রতি ভর্তি ফি নিচ্ছে ২০-১০০ টাকা। বীমার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে নিচ্ছে ঋণের এক পার্সেন্ট। যা কখনও ফেরত পাবে না ওই গ্রাহক। আবার সেই ঋণ প্রসেসিং বাবদ দিতে হয় ৫০-১০০ টাকা। গ্রাহকের বইয়ে জমাকৃত টাকার লভ্যাংশ থেকে যায় প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ঋণের মূলধন পরিশোধ করতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের নামে শতকরা ১৫-৬০ হারে সুদতো আছেই। এ সব এনজিও’র বিরুদ্ধে একাধিক বার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের নামে অবৈধ লেনদেনের মাধমে অধিক সুদ আদায় ও সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠলেও কচ্ছপ গতিতে চলছে প্রশাসন।
এনজিওগুলো কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করেই দাপটের সাথে মাঠ-কর্মী, হিসাবরক্ষক ও ফিল্ড সুপারভাইজার নিয়োগ দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।
জেলা সমাজসেবা দফতর থেকে ক্ষুদ্র ঋণ বা মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রম পরিচালনা করবো না মর্মে নিবন্ধন গ্রহণ করলেও বাস্তব উল্টো। কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করেই নিবন্ধন শর্ত ভঙ্গ করে স্বেচ্ছায় সেবা দান ভুলে গিয়ে মোটা অংকের সুদে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ কারবার চালিয়ে যেতে বেছে নিচ্ছে নতুন নতুন পদ্ধতি।
খুলনা জেলা সমবায় অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনা করতে গেলে তাকে অব্যশই বাংলাদেশ ব্যাংকের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি শাখা থেকে নিবন্ধন করতে হবে। অন্য কোনভাবে এ ধরণের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। যদি কোন প্রতিষ্ঠান সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে তারা সমবায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাহলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে। কিন্তু যদি কেউ ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে কিন্তু সমবায়ের নাম ব্যবহার করে না তাহলে সেখানে সমবায় অফিসের করার কিছু থাকে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ