শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

অস্ট্রেলিয়ার খারাপ সময় শুরু!

নাজমুল ইসলাম জুয়েল : টেস্ট কিংবা ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেরই শুরুর দিককার দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ইংলিশরা খুব বেশি ভাল দল না হলেও অজিরা হয়ে পড়েছিল অনেক উপরে। যদি বলা হয় অজেয় হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তাহলে কোনভাবেই ভুল বলা হবেনা। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত স্টিভ ওয়াহর দল জেতে রেকর্ড টানা ১৬ টেস্ট। সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি আরো একবার করেছিল রিকি পন্টিংয়ের দল। সেটা ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। সেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এখন পতনের তলানিতে। শ্রীলঙ্কায় হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জাটা আরো বেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা দুই টেস্ট বিধ্বস্ত হয়ে। সর্বশেষ মাত্র ৩২ রানে স্টিভেন স্মিথরা হারিয়ে বসেন শেষ ৮ উইকেট। এমন বিপর্যয়ের জন্য খেলোয়াড়দেরই দায়ী করছেন সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং। খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াই করার মানসিকতা দেখছেন না তিনি, ‘ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারছে না ওরা কী করবে, কিভাবে খেলবে। ওরা খুবই রক্ষণাত্মক মানসিকতায় খেলেছে। অথচ রক্ষণাত্মক হতে যে টেকনিক দরকার, সেটা নেই ওদের। একটা পরিবর্তন দরকার দলে।’ সেই পরিবর্তনটাই করছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেড টেস্টে মাত্র চারজনেরই নিশ্চয়তা আছে একাদশে খেলার। অন্যদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ খেলতে। সেখানে পারফর্ম করতে পারলে ভালো, নয়তো বিকল্প নিয়ে ভাববেন কোচ ড্যারেন লেহম্যান, ‘স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্ক আর জস হ্যাজেলউড নিশ্চিতভাবে খেলবে অ্যাডিলেডে। অন্যদের শিল্ডে ভালো খেলতে হবে।’ দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৮০ রানের হারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিষণœ ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন কিংবদন্তি মার্ক টেইলর, ইয়ান হিলি, শেন ওয়ার্ন, মাইকেল স্ল্যাটার ও টম মুডি। খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে নিজেদের অভিজ্ঞতা আর খারাপ সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শুনিয়েছেন তাঁরা। ড্রেসিংরুমে মনোযোগ দিয়ে সেসব শুনেছেন ক্রিকেটাররা। এই কিংবদন্তিদের আসার আগে পরের ছবিটা তুলে ধরলেন লেহম্যান, ‘পিনপতন নীরবতা ছিল ড্রেসিংরুমে। এর আগেও অনেক ম্যাচ হেরেছি আমরা; কিন্তু এভাবে চুপসে থাকতে দেখিনি কখনো। অনুশীলনে খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করছে। কিন্তু এর ফলটা পাচ্ছি না মাঠে, এটাই ভাবার বিষয়।’ খেলোয়াড়রা হয়তো বুঝে গেছেন নিজেদের ভবিতব্য। ৩৭ বছর বয়সী অ্যাডাম ভোজেসই যেমন। সর্বশেষ পাঁচ টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ১৪.৮। অথচ এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা পাঁচ টেস্টে রান করেছিলেন ৩৪২ গড়ে! সেই ছন্দ কোথায় হারালেন ভোজেস। তাঁর মতো ফর্ম হারিয়েছে পুরো দল। ২০১৩ সালেও টানা পাঁচ টেস্ট হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ২০১৪ সালে ফিরে পায় টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ স্থান। এ বছরের শুরুতেও ১ নম্বর ছিল স্টিভেন স্মিথের দল। পতনের শুরু শ্রীলঙ্কায় হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর। তাই এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত হওয়াটা মানতে পারছেন না রিকি পন্টিং, ‘নির্বাচকদের জন্য দলে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিলেও দিতে পারে; কিন্তু মাঠে তো খেলে ক্রিকেটাররা। আমার দলও ০ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে। সেই দলের কেউ না কেউ নিজের কাঁধে তুলে নিত দায়িত্ব। ভাবত, ‘যা হওয়ার হয়েছে, এবার আমি কিছু একটা করে বদলে দেব চিত্রটা’। এ দলে তেমন কাউকে দেখছি না।’ হতাশ শেন ওয়ার্নও। ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করে এসে জানালেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে এখন কঠিন সময়। এমন সময়েই খেলোয়াড়দের সুযোগ দৃঢ়তা দেখিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর।’
অস্ট্রেলিয়ার অজেয় দলের অন্যতম পেসার জেসন গিলেস্পি অভিনন্দন জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে, ‘দারুণ খেলেছ আফ্রিকা, সিরিজ জয় প্রাপ্য ছিল তোমাদের। ভালো খেলার সামর্থ্য আছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদেরও, এখন মাঠে করে দেখানোর সময় সেটা।’ দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ আপ্লুত দলের এমন পারফরম্যান্সে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সময় ভোর ৩.৩০ মিনিটে ঘুম থেকে জেগেছি। তখনই টেলিভিশনে হাইলাইটস দেখানো শুরু করেছে! আমাদের ক্রিকেটারদের অসাধারণ অর্জন এটা।’ সাবেক প্রোটিয়া স্পিনার প্যাট সিমকক্সের টুইট, ‘এই সুপারমুনটা অসাধারণ ছিল আমাদের জন্য। কী দূরন্ত জয় উপহার দিল ওরা।’ আর এমন পরাজয়ের পর একি বিমর্ষ চেহারা অস্ট্রেলিয়ার? নিজ দেশে টেস্টে নাস্তানাবুদ ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পার্থ টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। হোবার্টে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিশ্চিত করল তারা। এখন শুধু অপেক্ষা অস্ট্রেলিয়া হোয়াইট ওয়াশ হয় কিনা? হোবার্ট টেস্টে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৮৫ রানে অলআউট হলে বোঝাই যাচ্ছিল দিনে বৃষ্টির কারণে ব্যাট-বল মাঠে গড়ায়নি। এরপরও রক্ষা পেল না অস্ট্রেলিয়া। ইনিংস ও ৮০ রানের হারের লজ্জা পেয়েছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে তৃতীয় দিনটা শেষ করে স্বাগতিকরা। এতে লড়াইয়েও আভাস পাওয়া গিয়েছিল। পারল না তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার মারাত্মক বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ১২১ রানে ২ সেখানে কিনা ৬০.১ ওভারে ১৬১ রানেই অলআউট। কি লজ্জাটাই না পেল অস্ট্রেলিয়া। ৪০ রান যোগ করতেই তাদের ৮ উইকেটের পতন ঘটে। ওসমান খাজা ৬৪, ওয়ার্নার ৪৫, স্মিথের ৩১ ছাড়া বাকিরা কেউ দুই অংকের ঘরেও পৌঁছাতে পারেনি। ব্যাটিং লাইনে অস্ট্রেলিয়ার এমন ধস নেমে ছিল ১৮৮৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার তারা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল ৪২ রানে। সেই ইনিংসে ৩২ রানে ৮ উইকেটের পতন ঘটে। হোবার্টেও ৩২ রানে শেষ ৮ উইকেটের পতন। এর জন্য বড় কৃতিত্ব দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার অ্যাবট। তিনি ২৩.১ ওভারে ৭৭ রানে ৬ উইকেট পান। রাবাদা ১৭ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট। ম্যাচসেরা পুরস্কার জেতেন অ্যাবটই। নিজেদের আরেকটি লজ্জার রেকর্ড স্পর্শও করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্টে দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হয়েছেন ১৬ ব্যাটসম্যান। ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ১৬ জন ব্যাটসম্যান এক অঙ্কে সাজঘরে ফেরত যান। উল্লেখ্য, হোবার্ট টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩২৬ রান সংগ্রহ করে। এই জয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করল তারা। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টানা তিন সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। যেকোনো বিপর্যয়ের পর পরিবর্তনের ডাক আসে। হোবার্ট টেস্টে ভূমিধসের পর অস্ট্রেলিয়া দলেও আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন। সেই পরিবর্তন হতে পারে বৈপ্লবিক। ২৪ নভেম্বর অ্যাডিলেডে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে আসতে পারে সাতটি পরিবর্তন! হোবার্টে খেলা মাত্র চারজনের জায়গা আপাতত নিরাপদ। বাকি সাতজনই আছেন বলির পাঁঠা হওয়ার ঝুঁকিতে। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ৮০ রানের বিব্রতকর হারের পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের মান নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। পুরো ব্যাটিং ইউনিট পাল্টে ফেলার দাবি তুলেছে অসি মিডিয়া। সেটা হয়তো সম্ভাব নয়, তবে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন কোচ ড্যারেন লেম্যান। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের জায়গাই শুধু নিশ্চিত। তাদের সঙ্গে নিরাপদ বলয়ে আছেন দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। বাকিদের ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডের চারদিনের ম্যাচে নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবার পারফরম্যান্স চুলচেরা বিশ্লেষণ করে অ্যাডিলেড টেস্টের দল ঘোষণা করা হবে। তবে শেফিল্ড শিল্ডে ভালো করলেও হয়তো বাদ পড়া ঠেকাতে পারবেন না অ্যাডাম ভোজেস, জো বার্নাস, কালাম ফার্গুসন ও নাথান লায়ন। অসি মিডিয়া জানাচ্ছে, এই চারজনকে আপাতত বাতিলের খাতায় ফেলে শেষ টেস্টের জন্য সম্ভাব্য সেরা একাদশ বাছাইয়ের মিশনে নেমেছেন নির্বাচকরা। এরই মধ্যে কোচ ড্যারেন লেম্যানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরে ফেলেছেন তারা। লেম্যান নিজেও চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। প্রশ্ন উঠেছে স্মিথের নেতৃত্ব নিয়েও। এ পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের কোনো বিকল্প দেখছেন না স্মিথ, ‘সব কিছুরই পরিবর্তন দরকার। দলে এমন খেলোয়াড় প্রয়োজন যারা লড়াই করার মানসিকতা রাখে এবং অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে পেরে গর্ব অনুভব করে।’
আগের ব্যর্থতার খতিয়ান
কেপটাউন, নভেম্বর ২০১১
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ব্যাপারটাই এমন, ‘তোমরা যা পারো, আমরা তা আরও ভালো পারি।’ চার বছর আগের কেপটাউন টেস্ট সেটিরই প্রমাণ। প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রান করার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর রীতিমতো বিভীষিকা! ভারনন ফিল্যান্ডার, ডেল স্টেইন ও মরনে মরকেলের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৪৭ রানেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ! এর আগের ১০০ বছরেও এত কম রানে অলআউট হয়নি অস্ট্রেলিয়া (সর্বশেষ ১৯০২ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ৩৬ রান)। যে ইনিংসের পর সাবেক অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার ব্রাইস ম্যাকগেইন মজা করে লিখেছিলেন, ‘হ্যাঁ, এটা অস্ট্রেলিয়াই, অস্ট্রিয়া নয়!’ চতুর্থ ইনিংসে ২৩৬ রান তাড়া করে টেস্টটা স্বাগতিকেরা জেতে ৮ উইকেটে।
ট্রেন্টব্রিজ, আগস্ট ২০১৫
অ্যাশেজ। আগুনে লড়াই, প্রশ্নটা সম্মানের। তাতে আগের তিন টেস্টের দুটিতে জিতে ইংল্যান্ড এগিয়ে ২-১-এ। ট্রেন্ট ব্রিজে হার এড়ানোটা তাই ‘অবশ্যকর্তব্য’ ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। তা ক্লার্কের দল কী করল? স্টুয়ার্ট ব্রডের ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ে (৮/১৫) প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬০ রানে অলআউট! সেটিও মাত্র ১৮.৩ ওভারে! টেস্ট ইতিহাসেই যা প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে কম বলে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড। টেস্টের ভাগ্য ওখানেই লেখা হয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া হারে ইনিংস ও ৭৮ রানে।
গল, আগস্ট ২০১৬
খুব বেশি দিনের পুরোনো স্মৃতি নয়। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ২৮১ রানে আটকে দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেটে ৫৪। সেখান থেকে মাত্র ১০৬ রানে ইনিংস শেষ! রঙ্গনা হেরাথের বাঁ-হাতি স্পিনের সঙ্গে দিলরুয়ান পেরেরার অফ স্পিনে মাত্র ৫২ রানেই অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেট হাওয়া! উপমহাদেশের মাটিতে স্পিনের সামনে হাঁসফাঁস করতে থাকা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা তো হেরেছিলই (২২৯ রানে), হোয়াইটওয়াশও হয়েছিল সিরিজে।
পার্থ, নভেম্বর ২০১৬
দুই সপ্তাহও হয়নি এখনো। অস্ট্রেলিয়া বিনা উইকেটে ১৫৮, প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪২ রান পেরিয়ে স্টিভ স্মিথের দল কোথায় গিয়ে থামবে, সেই হিসাবই চলছিল। তা অস্ট্রেলিয়া লিড নিল ঠিকই, তবে মাত্র ২ রানের! ১০ উইকেট পড়ে গেল মাত্র ৮৬ রানে। সেটিও বলতে গেলে ডেল স্টেইনহীন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট নেয়ার কিছুক্ষণ পরই কাঁধে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান স্টেইন। অস্ট্রেলিয়া হারল ১৭৭ রানে।
হোবার্ট, নভেম্বর ২০১৬
হোবার্টকে দিয়ে শুরু, হোবার্টেই শেষ। একই টেস্টে দু’বার ‘ধসে’র অভিজ্ঞতা হলো। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক স্মিথের ৪৮ রানই ছিল দলের মোট রানের অর্ধেকের বেশি। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় মাত্র ৮৫ রানে। মাঝে একটা দিন বৃষ্টিতে ভেসে গেছে, কিন্তু খেলা শুরু হতে আবারও পিছলে পড়ল অস্ট্রেলিয়াই। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার নেয়া ২৪১ রানের লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১২৯ করেও ফেলেছিল। তারপরই ধস! ইনিংস শেষ ১৬১ রানে। ইনিংস ও ৮০ রানে ম্যাচ হেরে সিরিজটা অস্ট্রেলিয়া গেল হেরে, ঘরের মাটিতে যা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা তৃতীয় সিরিজে হার। ব্রাইস ম্যাকগেইনের কৌতুকটাতেই এখন প্রশ্নবোধক চিহ্ন পড়ে যাওয়ার জোগাড়, ‘এটা কি অস্ট্রেলিয়াই, অস্ট্রিয়া নয় তো?

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ