বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সৌদীতে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ খুবই নগণ্য

সৌদী-বাংলাদেশী পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপের চেয়ারম্যান বিএইচ হারুন হাজীদের ও শ্রমিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এসে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন -সংগ্রাম

সংসদ রিপোর্টার : সৌদিতে ৭০ হাজার বাংলাদেশী নারী গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। সেখানকার সেল্টার সেন্টারে বিভিন্ন কারণে মাত্র ৩১৫ নারী রয়েছেন। তাই সেখানে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ খুবই নগণ্য। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ-সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন।
এর আগে ৬ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গত ৫ থেকে ১৩ নবেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরব সফর করেন। সফর পরবর্তী এই প্রেস ব্রিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়। সৌদি আরব সফরকালে প্রতিনিধি দল সৌদির মজলিসে শূরার প্রধান (স্পিকার), শ্রমমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী ও ওআইসির মহাসচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। হারুন বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকদের নিয়ে সৌদির অভিযোগ হলো- তারা যথাযথভাবে ট্রেনিংপ্রাপ্ত নয়। এ ছাড়া বয়স কম দেখিয়ে অনেক নারীকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। আর অনেক পুরুষ শ্রমিক সেখানে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ সবের জবাবে কমিটির সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশীরা সেখানে অপরাধ করেছেন না। মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদিতে গিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
কমিটির সভাপতি বলেন, আগামীতে যাতে সঠিক ট্রেনিং নিয়ে সেখানে শ্রমিক যায় সে ব্যাপারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করবে কমিটি।
কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সেখানে নারীদের কাজ করার প্রধান সমস্যা ভাষা। এ ছাড়া ওই দেশের রুটি খেতে পারেন না তারা। আর সৌদির সংস্কৃতি অনুযায়ী রাতের বেলা তারা আত্মীয়দের বাসায় যান এবং পার্টি দেন। সেখানে মাত্র একজন গৃহকর্মীকে গভীররাত পর্যন্ত সব সামলাতে হয়।
বাংলাদেশের হাজিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কেন সৌদি কর্তৃপক্ষের এ প্রশ্নের জবাবে কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষদের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সচেতনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য হাজিদের সংখ্যা বাড়ছে। কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ থেকে হাজিদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধির অনুরোধ করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান নজরুল ইসলাম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ