শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

লাবণী-কলাতলী পয়েন্টে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বীচ ওয়াকওয়ে

কামাল হোসেন আজাদ, কক্সবাজার : বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আরো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবার বালিয়াড়ি আর ঝাউবীথির বুক চিরে নির্মিত হচ্ছে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিলক মানের “বীচ ওয়াকওয়ে”। এই সড়কটি মূলত; অধিকতর দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হবে পর্যটকদের কাছে। লাবণী পয়েন্ট থেকে শুরু কলাতলী বীচ পয়েন্ট পর্যন্ত ওয়াকওয়েটি নির্মিত হবে সর্পিল আকারের ডিজাইনে। বিশ্বমানের বীচ ওয়াকওয়ের দু’পাশে থাকছে- ফুলের টব, কফি শপ, চ্যাঞ্জিং রুম, সাইকেল ক্যান্টিন ও বাথরুমের মনোরম ব্যবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ওয়াকওয়েকে ঘিরে বিকাল বেলায় পর্যটকদের জন্য বিশেষ বিনোদন ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। যে ব্যবস্থার আওতায় থাকবে সড়কের দু’পাশে পর্যাপ্ত লাইটিং, ল্যান্ড স্ক্যাপিং ও মনোমুগ্ধকর ফুলের বাগান। পর্যটকদের জন্য বিনোদনের মাত্রা আরো বাড়াতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী সৈকত পর্যন্ত এ বিকল্প বীচ ওয়াকওয়ে নির্মিত হচ্ছে। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই সড়কের কাজ আগামী জানুয়ারি নাগাদ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ পর্যটকবান্ধব এই ওয়াকওয়েটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ইসিবি। “সাইকেলওয়ে, ওয়াকওয়েসহ পর্যটকদের জন্য অন্যান্য সুবিধা নির্মাণ” শীর্ষক এই প্রকল্পটি বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। উন্নত বিশ্বের সৈকতের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়েছে বেশ কিছু নমুনা চিত্রও। সম্প্রতি সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়–য়া জানান, ঊর্ধ্বতন মহলের অনুমতি পেয়ে ইতোমধ্যে তারা প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে পাস হলেই আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তার মতে, সৈকতকে আরো দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। সাগরকূল ঘেঁষে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের বিনোদনের মাত্রা আরো ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।

তিনি আরো জানান, এরআগে একই বিভাগের অধীনে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কলাতলী মোড় থেকে বীচ পর্যন্ত ১৪০ মিটার দীর্ঘ ও ৪০ মিটার চওড়া একটি দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প পাস হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ