বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বেড়েছে। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের মূল্যাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা গত মাসে ছিল ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিবিএস এর মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
 বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বলছে শাক সবজি, চাল, তেল, চিনি, দুধ, লবণসহ পণ্যের দাম বাড়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বেড়েছে।
বিবিএস’র তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।
অক্টোবরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
অপরদিকে শহরে অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া খাদ্য বহির্ভূত মুল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত মাসের খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছি। তখন বিবিএস বলেছিল, ঈদের কারণেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর এ কারণেই মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু এই মূল্যস্ফীতি স্থায়ী হবে না। অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে। কিন্তু বিবিএস’র সে তত্য সঠিক হয়নি। অক্টোবর মাসেও মূল্যস্ফীতি বাড়লো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ