সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অজর্নে সামাজিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সামাজিক খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো দরকার। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের আরও সর্তক থাকতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে দেশে প্রথমবারের মতো ‘ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট সামিট বাংলাদেশ’ নামে দিনব্যাপী এক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইএস) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন বিল্ড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্থপতি ফরহাদুর রেজা।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিক এডভাইজার ফয়সাল আহমেদ, শিক্ষাবিদ ড. রেজা আলী, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, এসিআই এগ্রি বিজনেসের নির্বাহী পরিচালক ড. এফএইচ আনসারী প্রমুখ।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, অস্ট্রেলিয়ান এডভাইজরি বোর্ড অন ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং’র চেয়ারপারসন রোজমেরি এডিস, ইউকের ডেভিড ক্যারিংটন, ভারতের অভিজিৎ রায়, অস্ট্রেলিয়ার কোরিন প্রোস্কি।
বিল্ড বাংলাদেশ’র উদ্যোগে সম্মেলনটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ)। এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ড্রাইভিং দ্য সাসটেইন্যাবল এজেন্ডা বা টেকসই এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়া’।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বব্যাপী ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং মার্কেটের গুরুত্ব অনুধাবন, বাংলাদেশে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং মার্কেটের ভবিষ্যৎ এবং বিকাশের সম্ভাবনা ও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়ে বিশদ আলোচনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রতা নিরসনে আমরা যথেষ্ট সাফল্য দেখিয়েছি। দেশে দারিদ্রতার হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। আমাদের দারিদ্রতা দূরীকরণের সাফল্য দেখে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম অভিনন্দন জানিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট গ্লোবাল অবজেকটিভ। সমাজ ও পরিবেশের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।ি
তিনি আরও বলেন, ইনফরমেশন টেকনোলজির (তথ্য প্রযুক্তি) বিপ্লবের এই সময়ে শিল্প বিকাশের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সামাজিক খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে।
ড. খায়রুল হোসেন বলেন, এই সেক্টরে বেশিরভাগ ফরেন এজেন্সিগুলো কাজ করে থাকে। এই সেক্টরের বাজার বাড়াতে প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি বলেন, ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং এর বাজার এখন ১ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এই সেক্টর যাতে আরও বড় হয় সে জন্য আমরা ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে উদ্যোগ নিবো। ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং এর জন্য যারা মার্কেটে কাজ করবে তাদের লবিং পিরিয়ড ১ বছর করা হবে।
সম্মেলনে চারটি প্যানেল অধিবেশনে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেন। সম্মেলনে বক্তারা বাংলাদেশের ফিন্যানসিয়াল ইনস্টিটিউশন, কৃষি খাদ্য নিরাপত্তা, তৈরি পোশাক এবং স্বাস্থ্য ও কল্যাণ খাতে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্টের প্রভাব ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।