শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

জেলা ফুটবলে জোর দিলেন ফিফা প্রতিনিধি দল

স্পোর্টস রিপোর্টার : চারদিন হল ঢাকায় এসেছে ফিফা প্রতিনিধি দল। কমলাপুরের অ্যাস্ট্রোটার্ফ, ফুটবল ফেডারেশন, ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে দলটি। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ অটো ফিস্টারের ছেলে মাইক ফিস্টার। তার সঙ্গী ফিফা টেকনিক্যাল অফিসার সুব্রামানিয়াম, ফিফার ডেভেলপমেন্ট অফিসার সাজি প্রভাকরণ ও এএফসির মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন ডিপার্টমেন্টের ডেভেলপমেন্ট অফিসার রাইয়াম। কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি এবং ক্ষোভ থাকলেও অন্য বিষয়গুলোতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ফিফাকে সুপারিশ জানাবে দলটি। গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই জানালেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ফিফার প্রতিটি সদস্যদেশ আগে বার্ষিক অনুদান পেত আড়াই লাখ ডলার। ফিফার নতুন সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সেটা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ করেছেন। এর পরও চাহিদা অনুযায়ী এবং প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে প্রতিটি দেশকে আরও সাড়ে সাত লাখ ডলার অনুদান দেবে ফিফা। বাংলাদেশের সেই সাড়ে সাত লাখ ডলার পাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে মাইক ফিস্টারের কথা, ‘বাফুফের প্রকল্পগুলো আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। প্রকল্প পাওয়ার ৬০ দিন পর সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে ফিফা।’ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ভবনের উপরে একটি ডরমেটরি, ভালোমানের জিম, অনূর্ধ্ব-১৬ পুরুষ ও নারী দলের ক্যাম্পের খরচের জন্য তাদের কাছে প্রস্তাব করব।’ ফিফা প্রতিনিধি দলের অফিসার বলেছেন, বাফুফে ভবনের সামনের জায়গায় ছোট আর্টিফিশিয়াল টার্ফও তারা করে দিতে পারেন। বাফুফের সঙ্গে ফিফার এই প্রকল্প চার বছরব্যাপী। ফিফা ফুটবলকে সরকারি হস্তক্ষেপ থেকে দূরে রাখতে চায়। এজন্য বাফুফে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ) করতে বাধ্য হয়েছে। এতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ডিএসএ) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ডিএফএ ও ডিএসএ’র দূরত্ব কমানোর বিষয়ে মাইক বলেন, ‘এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি সমস্যা। আমরা ডিএফএকে আরও গতিশীল করার জন্য বাফুফেকে পরামর্শ দিয়েছি। প্রয়োজনীয় সাহায্য করব। ডিএফএ-ডিএসএ সমন্বয়ের জন্য নতুন মডেল নিয়ে ভাবছি আমরা।’ বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের জন্য জেলা ফুটবলের ওপর জোর দিচ্ছেন এই অফিসার। বাংলাদেশের ফুটবলেও সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে। দুই বছর আমরা দেখব। তারা যদি এটাকে টার্নিং পয়েন্ট ধরে এগোতে পারে তবেই সম্ভব ঘুরে দাঁড়ানো। বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে বয়সভিত্তিক দলের অনুপস্থিতির বিষয়টিও চোখে পড়েছে তার, ‘ক্লাবগুলোর বয়সভিত্তিক দল থাকা প্রয়োজন। এতে ফুটবল কাঠামো শক্তিশালী হয়। ক্লাবগুলোর তৃণমূল দল না থাকলে ফুটবলে এগোনো সম্ভব না।’ অবকাঠামো বা আর্থিক সমস্যাকে ফুটবলের উন্নয়নের পথে বাধা হিসেবে মানতে রাজি নন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ