শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাড়ে ৬ কোটি টাকার কাজ ভাগবাটোয়ারা

খুলনা অফিস : খুলনার ফুলতলা আবাসিক এলাকা উন্নয়নের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার কাজ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদাররা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । তাদের বাধার কারণে ৩৬টি সিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়েছে সিন্ডিকেটদের মাত্র তিনটি সিডিউল। বাধ্যবাধকমূলক ই-টেন্ডার (ইজিপি) পদ্ধতি লঙ্ঘন করে ওটিএম পদ্ধতি অনুসরণ করায় সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। ফলে ক্ষুব্ধ সাধারণ ঠিকাদাররা দরপত্রটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ফুলতলা আবাসিক এলাকার প্লট উন্নয়নের জন্য সীমানা প্রাচীর, রাস্তা, আরসিসি কালভার্ট, ড্রেন, গভীর নলকূপ স্থাপন, পানি সঞ্চালন লাইন স্থাপনসহ বিভিন্ন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজের মূল্য ছিল সাড়ে ৬ কোটি টাকা। ২৮ অক্টোবর ছিল দরপত্র জমার সময়। পরে তা সংশোধন করে ৩১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে মোট ৩৬টি সিডিউল বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু দরপত্র জমার দিন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নেন। তাদের বাধার কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা দরপত্র অংশ নিতে পারেনি।
সূত্র জানায়, সরকারি অনুমোদিত দর ৭ কোটি ১৫ লক্ষাধিক। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আশরাফ হোসেন ও যুবলীগ নেতা ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্ব দরপত্রটি ভাগবাটোয়ারা হয়েছে। তিনটি সিডিউল জমা পড়লেও কাজ পেয়েছেন ঢাকাস্থ মেসার্স কেটিএ জেভি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দরপত্রটি ই-টেন্ডারিংয়ে অর্থাৎ ইজিপি’র মাধ্যমে আহ্বানের নির্দেশ দিলেও স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী তা মানেননি। ম্যানুয়ালি (ওটিএম) দরপত্র নেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। তারা ১০ শতাংশ কমে এলটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বানের দাবি জানান। ক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা দরপত্রটি বাতিলের দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ হোসেন বলেন, ভাগা নেয়ার জন্য সবাই সিডিউল কেনে। কিন্তু পরে দেখা যায় কাজের অভিজ্ঞতা বা অন্যান্য কাগজপত্র তাদের নেই। তখন কেউ সিডিউল জমা দিতে পারে না। এখানেও তাই হয়েছে। দরপত্র ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কাজটি মেসার্স কেটিএ জেভি নামক প্রতিষ্ঠানকে দিতে নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকায় গেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।  এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুল হক মোতাইদ বলেন, দরপত্র বাধা দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ