ক্রিকেটার শাহাদাত দম্পতির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্তিতর্ক ৩১ অক্টোবর॥ আদালতে নির্দোষ দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শেষ হয়েছে। ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাঈল গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলার যুক্তিতর্কের জন্য ৩১ অক্টোবর পরবর্তী দিন রাখেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আসগর স্বপন বলেন, “কাঠগড়ায় দাঁড়ানো শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।”
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে শাহাদত মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কয়েক ঘণ্টা পর খন্দকার মোজাম্মেল হক নামে এক সাংবাদিক পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি থেকে মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নামের ওই গৃহকর্মীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে ওই কিশোরী থানায় শাহাদত ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। উদ্ধারকারী সাংবাদিক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের বাসা থেকে পুলিশ শাহাদতের স্ত্রীকে গ্রেফতার করে। ৫ অক্টোবর শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকেও কারাগারে পাঠানো হয়। পরে শাহাদাতকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে এই দম্পতি জামিনে মুক্তি পায়।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ১১ বছরের ওই গৃহকর্মী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২৯ ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক শফিকুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দেন। কিছু দিন কারাগারে থাকার পর ডিসেম্বরেই জামিনে কারামুক্ত হন শাহাদাত ও তার স্ত্রী। তবে জাতীয় ক্রিকেট দলে আর স্থান হয়নি শাহাদাতের।
এই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আলী আসগর স্বপন বলেন, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক শফিকুর রহমান গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় ১২ জনের মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী তারিখে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। একই সঙ্গে তাঁরা সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলেও উল্লেখ করেন।
এ মামলায় শাহাদাত ও নিত্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ বছর ও সর্বনিম্ন সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।