শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতী

প্রিন্সিপাল সাব্বির উদ্দিন আহমদ : ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু মাওলানা কিসমতীর। দেশ বিদেশের উর্দু, আরবি, ইংরেজি পত্রিকা-ম্যাগাজিনের নিয়মিত পাঠক ছিলেন তিনি। তাঁর মতো একজন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন সাংবাদিকতার ন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ পেশা গ্রহণ করে কলমযোদ্ধা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর দেশ, জাতি, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা সত্যি বিরল।
তাঁর সমগ্র জীবন পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাইÑ তিনি তার জীবন যৌবন সত্য প্রতিষ্ঠায় ব্যয় করে গেছেন। জ্ঞান অন্বেষণ, বিতরণ এবং সেইসাথে একটি ইনসাফপূর্ণ নৈতিক সমাজ বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতীর অবদান অনস্বীকার্য।
আলিয়া ও কওমী উভয় নেসাবে পড়াশোনা করে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নেয়ার পর প্রথমে শিক্ষকতা পেশাকে গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫৯ সালে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট মনতলী সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসার হেড মোদাররেস এবং ১৯৬০ সালে বগুড়া ঠনঠনিয়া সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসায় হেড মাওলানা পদ অলঙ্কৃত করেন।
শিক্ষকতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের গুণ ও মানগত পাঠদানে সুমানুষ এবং বহু যোগ্য আলেমেদ্বীন গড়ার কাজে প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টা চালাবার সুযোগ হয় তার।
১৯৬৮-১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকাস্থ ইসলামিক রিসার্চ একাডেমির রিসার্চ ফেলো ছিলেন।
এরপর নিয়মিত সাংবাদিকতা পেশা ও বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের কাজে নিয়োজিত হন তিনি। আরবি, উর্দু হতে বাংলায় অনুবাদ করেছেন ইমাম ইবনে তাইমীয়াহ রহঃ, সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদূদী রহঃ, সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহঃ এবং খুররম মুরাদ রহঃ এর মতো প্রমুখ উচ্চ ব্যক্তিবর্র্গের প্রবন্ধ-গ্রন্থাবলি।
১৯৭২ সালে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম কাশিনগর সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা তার অগ্রণী অবদানের সাক্ষী হিসেবে জ্ঞানের জ্যোতি হাজারো ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। নানা শ্বশুর এবং উস্তাদ, ভারতে শিক্ষা লাভকারী, হযরত মাওলানা আব্দুল মজিদ রহ. মাদরাসার একরকম সূচনা করেছিলেন। মাওলানা কিসমতী উস্তাদের নির্দেশে এটির হাল ধরে সিনিয়র মাদ্রাসায় উন্নীত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। দ্বারে দ্বারে গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করে মাদ্রাসাকে সুশিক্ষার একটি কেন্দ্রে পরিণত করেন। তাই তিনি এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তার আহ্বানে দ্বীনি শিক্ষার মহৎ উদ্দেশ্যে এলাকাবাসী যেমন ভূমি দান করেন, তেমনি স্কুল অপেক্ষা মাওলানা কিসমতী পরিচালিত মাদ্রাসায় তাদের সন্তানদের পড়াতে বেশি উৎসাহ বোধ করেন।
ষাটের দশক হতে সাংবাদিকতায় লেখালেখির কঠিনতর জীবনকে প্রধান পেশা ও নেশা হিসেবে তিনি গ্রহণ করেন। একজন লেখক হবার জন্যেই শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে তার ঢাকায় আগমন। জ্ঞানতাপস মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজমী রহঃ তার লেখনী গুরু ছিলেন। এবং ’৫০-এর দশকের ইসলামী আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা, মাওলানা আতহার আলী রহঃ ছিলেন তার আধ্যাত্মিক গুরু।
ইসলামী চিন্তাবিদ, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম পরিচালনাধীন সাপ্তাহিক জাহানে নও, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সানাউল্লাহ নূরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক নয়া দুনিয়া এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী সম্পাদিত সান্ধ্য দৈনিক আওয়াজসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। প্রখ্যাত আলেম, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান সম্পাদিত মাসিক মদীনা ও বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক, সাহিত্যিক আবদুল মান্নান তালিব সম্পাদিত মাসিক পৃথিবীর সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
অতঃপর তার জীবনের মোড় নেয় ‘সংগ্রাম’ নামে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সাথে নিজকে জড়িয়ে ফেলা। সংগ্রাম পত্রিকার সাথে তার দীর্ঘ প্রায় অর্ধশতাব্দী জীবন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে ছিল। জীবনের শেষ অধ্যায় পর্যন্ত তিনি এ পত্রিকার সাথে নিজকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন।
এ দৈনিক পত্রিকা থেকে সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, প্রবন্ধ, ফিচার, অনুবাদসহ অসংখ্য লেখা তিনি স্বনামে-ছদ্মনামে রচনা করেছেন। প্রেরণা যুগিয়েছেন নতুন নতুন লেখক তৈরিতে।
মখ্ফী, সবুক্তগীন, জেড আহমদসহ আবু মোসলেহ্ ছদ্মনামে নানা বিষয়ে লিখেছেন।
বন্ধুবৎসল, সদালাপী, হাস্যোজ্জ্বল মানুষরূপে- সংবাদসেবী ও ইসলামপ্রিয় দেশের অগুণিত মানুষজনের কাছে যেমন একজন প্রিয় মুখ ‘কিসমতী ভাই’ তেমনি অনেকের কাছেই প্রিয় ‘মাওলানা সাহেব’ বলে সংবর্ধিত হতেন।
তার লেখনীর বিশেষ দিকÑ কখনো কাউকে সরাসরি না ক্ষেপিয়ে কৌশলে তার ভুলগুলো ধরিয়ে তাকে কীভাবে সংশোধনের পথে ধাবিত করা যায়, এ ব্যাপারে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত, এক কথায় অনন্য। তিনি কাউকে সরাসরি খোঁচা দিতে পছন্দ করতেন না, কারো দোষ অন্বেষণ কিংবা অমার্জিতভাবে কারো ওপর ক্ষোভ বর্ষণে উৎসাহ বোধ করতেন না। এমনটি তার পুরোপুরি স্বভাব-বিরুদ্ধ ছিল। সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্ত মাওলানা কিসমতী সাদাসিধেভাবেই কোনো একটা বিষয়কে পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করতেন।
ব্রিটিশরা এ উপমহাদেশে দ্বি-মুখী শিক্ষা চালু করার ফলে এ অঞ্চলের জনগণ বিশেষত মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক অনেক ধারণার জন্ম নেয়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে আলেমদের যে সংগ্রামী ভূমিকা ছিল তা মানুষ ভুলতেই বসেছিল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনটি মূলত আলেমদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল বিধায় এ আন্দোলনে আলেমদের সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কোরবানি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। এ ব্যাপারে একটি প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘আজাদী আন্দোলনে আলেম সমাজের সংগ্রামী ভূমিকা’ শীর্ষক একটি কালজয়ী বই লিখে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার এই বইটি কলকাতার ‘ইতিহাস অনুসন্ধান’ গ্রন্থসহ বাংলাদেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ হয়ে থাকে।
‘দার্শনিক শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা’ ‘শরীয়তী রাষ্ট্রব্যবস্থা’ ‘চিন্তাধারা’ ‘এই সময় এই জীবন’ ‘বাংলাদেশের সংগ্রামী আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ’ ‘শহীদে কারবালা ইমাম হোসাইন রাঃ : ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের পহেলা শহীদ’ ‘আদর্শ কীভাবে প্রচার করতে হবে’ ‘মহানবী সাঃ’ ‘আল কোরআনের দৃষ্টিতে সমাজসেবা’ ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে মুসলমান’ ‘উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতির ইতিহাস’ আরবিতে রচিত ‘আল উম্মাতুল মুসলিমাহ্ ওয়াল্লোগাতুল আরাবিয়া’ এসব মিলে তিনি ৩০টির মতো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন।
বহু ভাষাবিদ, গবেষক ও প-িত, মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতী ১৯৬৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দ্বীনি প্রোগ্রাম পরিচালনা ও মোফাস্সিরে কোরআন হিসেবে বেতারে বিশেষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রম আরবি সার্ভিসে সংবাদ পাঠ-পর্যালোচক হিসেবে প্রায় দু’যুগ সম্পৃক্ত ছিলেন। উর্দু ও আরবি ভাষায় তার পা-িত্য ছিল অসাধারণ। আধুনিক আরবি ভাষায় তার জানা-শোনা ও দখল ছিল ঈর্ষণীয়।
জীবনের বড় অংশজুড়ে তিনি একজন চিন্তাশীল লেখক ও আলেমেদ্বীন হিসেবে এদেশে কাজ করে গেছেন। তিনি কখনো বৈষয়িক আগ-পিছ চিন্তা সেভাবে করেননি বলে এ ক্ষণজন্মা পুরুষটি অনেক সময় লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। একমাত্র দৈনিক সংগ্রাম ও বাংলাদেশ বেতারের গ-ি যেন তাকে যাদু করে রাখে, যা জীবনের শেষ পর্যন্ত তাকে এ দু’জায়গায় আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল।
অসাধারণ প্রতিভা ও মহান ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও জীবনের শেষ অবধি তিনি তার চিকিৎসা খরচ ও জীবিকা নির্বাহে কষ্ট শিকার করেছেন। এবং দেশ ও জাতিকে দিক-নির্দেশনার সৃজনশীল মহৎ পেশা ছেড়ে সচরাচর অন্য কোনো পেশায় তিনি যাননি।
মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র মাদ্রাসা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এ দেশে তিনি প্রথম কলম ধরেছিলেন। তার লিখনির পরপরই মহিলাদের দ্বীনি আলোকে গড়ে তুলে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ বংশধরকে ভালো মানুষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে বহু মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এক্ষেত্রে তাঁর লেখনী আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
উল্লেখ্য, তার কলাম পড়েই কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব আরিফুর রহমান মহিলা মাদ্রাসার নামে ১২০ শতক ভূমি দান করেন। মহিলা মাদ্রাসার জন্য তিনি নিজেও তাঁর গ্রামে ১০ শতক ভূমি দান করে গেছেন। তাঁর লেখালেখির এ রকম বহু প্রভাব দেশের বহু স্থানে পড়ে। মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা বা ‘ইবতেদায়ী’ শব্দটি তার লেখনীতে সর্বপ্রথম এসেছে, যা পরবর্তীতে সরকারিভাবে জমিয়তুল মোদাররেসীনের মাধ্যমে প্রতিটি মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
আত্মীয়স্বজনসহ গ্রাম শহর মিলিয়ে সামাজিকভাবে মাওলানা কিসমতী জীবনভর সাধারণ মানুষের সাথে থাকতে চেষ্টা করেছেন। এবং সহযোগীপ্র্রবণ লোক ছিলেন। তিনি মানুষদের সামর্থ্য মতো সহযোগিতা করতে ভালোবাসতেন, এমনকি একটি সুপরামর্শ দিয়ে হলেও। মানুষকে প্রাণ দিয়ে আপ্যায়ন করতে পছন্দ করতেন। অফিসে কিংবা বাসায় একটি সাধারণ খাবারও উপস্থিতদের নিয়ে খেতে পছন্দ করতেন, এতে তিনি পুলকিত বোধ করতেন। এ থেকে তার জীবনের সরলতা ও সার্বজনীনতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমরা পাই।
বহু লেখক, অনুবাদক, সাংবাদিক আর সুযোগ্য আলেমেদ্বীন সৃষ্টিতে মাওলানা কিসমতীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয়।
কয়েক দশক ধরে লেখনী এবং বেতারের শুরুর দিক হতে ‘পথ ও পাথেয়’ অনুষ্ঠানের আলোচক, ‘সাহ্রী অনুষ্ঠান’ পরিচালনা ও ‘আরবি সংবাদ পাঠক’ হওয়ার বদৌলতে সারা বাংলাদেশে লাখ লাখ লোকের মাঝে তার নাম পরিচিতি পায়। সেই সুবাদে তার ভক্ত, অনুরক্ত ও গুণগ্রাহী তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাভিভূত হয়। ঢাকা ও কুমিল্লায় চার-চারটি জানাযায় অশ্রুসিক্ত মানুষের অংশগ্রহণ তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাই প্রমাণ করে।
জন্মস্থান চলু-া গ্রামটি তার নামের খ্যাতিতে ‘কিসমত চলু-া’ গ্রাম নামে পরিচিতি লাভ করেছে, যা সরকারি গেজেট ও জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায়।
বাংলা, উর্দু, আরবি, ইংরেজি ও ফারসি ভাষায় তার অনুবাদের দক্ষতা তাকে একজন স্কলার হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিল। তাঁর প্রবন্ধ করাচি, দিল্লীর উর্দু পত্রিকা এবং আসামের অস্মি ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে। অধুনালুপ্ত  ফ্রাঙ্কলিন পাবলিকেশন্স প্রকাশিত বাংলা বিশ্বকোষের তিনি অন্যতম কন্ট্রিবিউটর। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল, আলিম ও ফাযিল ক্লাসের বহু মূল ও সহায়ক গ্রন্থের তিনি অন্যতম সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন।
এই বিরল ব্যক্তিত্ব জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, বাংলা একাডেমির সদস্য এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদনা পরিষদসহ শিশু বিশ্বকোষ প্রকল্প কমিটির সদস্য ছিলেন। ছিলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সর্বধর্মীয় বিশেষ সেমিনার ও দেশের অন্যান্য স্থানের সভা-সেমিনারে ইসলামী গবেষণাধর্মী প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপক, আলোচক এবং ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি।
ইসলামী সভা সমাবেশে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, চাঁদপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় তাকে অতিথি করে নিয়ে যেত তার গুণমুগ্ধ সুধীজনরা।
দেশের বাইরে সৌদি আরব ও ইরান সরকার কর্তৃক অতিথি হওয়ারও সুযোগ তিনি লাভ করেন। পবিত্র হজ্ব পালন এবং মদীনায় নবীজী সাঃ এর রওজা মোবারক জিয়ারত করার সৌভাগ্য তাঁর নসিব হয়েছে।
২০০৬ সালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জনাব কিসমতী রচিত ‘এই সময় এই জীবন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এসে দেশের সাবেক সচিব, বিশিষ্ট গবেষক ও স্বনামধন্যÑ শাহ্ আব্দুল হান্নান তাকে যুগের একজন ‘মুজতাহিদ’ হবার উপযোগী বলে মূল্যায়ন করেন।
একজন বড় আলেম ও কলামিস্ট হিসেবে তিনি ঢাকা-কুমিল্লার বহু মসজিদ-মাদ্রাসায় উপস্থিত বক্তা এবং পবিত্র জুমার নামাজের অতিথি খতীব হয়েছিলেন। তিনি কুমিল্লা কাশিনগর ‘জাম্বিল’ নামক ঈদগাহ্ ময়দানে কয়েক যুগ ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন।
এই কৃতী ব্যক্তিত্ব ১৯৩৫ সালে কুমিল্লার এক সম্ভ্রান্তÑপ্রাচীন শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ২০১৫ সালে ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হসপিটালে ইন্তিকাল করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ