বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ও অভ্যন্তরীণ পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা

মোঃ আমানুল্লাহ আমান : বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। এদেশে প্রথম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয় ১৯৬০ সালে ঢাকার উর্দু রোডে। ১৯৬৭ সালে ঐ ফ্যাক্টরির উৎপাদিত ১০ হাজার পিস শার্ট সর্বপ্রথম বিদেশে (ইংল্যান্ডে) রফতানি করা হয়। তবে ১৯৭০ সালের পরেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পুরোপুরি বিকাশ ঘটে বলে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। গার্মেন্টেস প্রস্তুতকারক ও গার্মেন্টস রফতানিকারক দেশ হিসেবে ১৯৮১-৮২ সালে ০.১ বিলিয়ন টাকার রেডিমেইড গার্মেন্টস রফতানি করে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পদচারণা পুনরায় আরম্ভ হয়। ঐ সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টেস শিল্পের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। অথচ মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির পরিমাণ ১৯৯২-৯৩ সালে ১৪৪৫ মিলিয়ন ইউ.এস ডলারে উন্নীত হয়। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যা বাংলাদেশের রফতানির ৮৩ ভাগ। রফতানি আয়ের সাথে সাথে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬ হাজারের বেশি গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরি রয়েছে। সম্ভাবনাময় হচ্ছে পোশাকশিল্প। বিশ্বায়নের যুগে বাংলাদেশের পোশাক একটি ব্র্যান্ড হিসেবে উন্নত দেশগুলোতে পরিচিতি লাভ করেছে। পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান দখল করে প্রমাণ করেছে এদেশে পোশাকশিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি দেশে “মেইড ইন বাংলাদেশ”-এর পোশাক রফতানি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। অপরদিকে সেই তুলনায় বাংলাদেশে পোশাক তৈরির ব্যয় অনেক কম। তাই ক্রেতারাও বাংলাদেশকে বেঁেছ নিচ্ছেন। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে যারা তিলে তিলে গড়ে তুলেছে, যারা এর যথাযথ মান ধরে রাখার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছে তারা নিজেদের জীবনমান কতুটুকু ধরে রাখতে পারে? পোশাকশিল্পকে সম্ভাবনাময় করার কারিগর এসব মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ কতটুকু সম্ভাবনাময়। নাকি এদের জীবনে স্বাদ-আহ্লাদ বলে কিছু নেই। গার্মেন্টেস শিল্পের শ্রমিকরাই নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বিশেষ করে পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত চার মিলিয়ন বা ৪০ লাখ কর্মীর মধ্যে ৮০ ভাগই নারী। এ সকল নারীদের জন্য আলাদা কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়নি। যার কারণে যৌন নির্যাতনও বেড়ে যাচ্ছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমৃর্ত সেন প্রায়ই তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের শ্রমজীবি নারীদের প্রশংসা করতেন। তিনি ২০১২ সালে জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকের প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ভারতের বিপরীতে বাংলাদেশকে যদি দাঁড় করাই, দেখা যাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুরু করতে হয়েছে পেছনে থেকে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এই দ্রুত উন্নতির পেছনে আছে নারীর ক্ষমতায়ন। সরকারের উচিত নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা। তাহলে আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শুনাম ধরে রাখতে পারবো। আবার অন্যদিকে দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমরা শ্রমজীবি মানুষের ন্যায্য অধিকারের কথা বলি কিন্তু সেই শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কোনো ক্ষেত্রেই আজও এদেশে তাদের ন্যূনতম মর্যাদা ও অধিকার এবং শ্রমিকের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়নি। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজার ভবন ধসে ১১৭৫ জন নিহত ও ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক আহত হয়। ইতিহাসের এক নিষ্ঠুরতম ঘটনার পর বাংলাদেশের শ্রমিকদের বিশেষভাবে ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্থা, নিরাপত্তা, জীবনমান ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনার ঝড় উঠে। একজন শ্রমিকের কর্মস্থলের নিরাপত্তা, চাকরির নিরাপত্তা, মোটামুটি ভালভাবে বেঁচে থাকা, মজুরি, দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার ইত্যাদি দেশের শ্রম আইনের সঙ্গে জড়িত।
শুধুমাত্র গার্মেন্ট সেক্টরেই একের পর এক ভবন ধস, আগুন, পদপিষ্ট হয়ে হাজারো শ্রমিকের মৃত্যু, বাংলাদেশের মালিকপক্ষ, সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দুঃশাসন, ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতা, আইন লঙ্গনের সংস্কৃতি দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মালিক এবং সরকারপক্ষ শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংক্রান্ত কোনো আইন মানতে রাজি নয়। কারখানায় ইউনিয়ন গঠনের উদ্যোগ নেয়ার খবর পাওয়া মাত্র শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হয়, ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়, গুণ্ডাপাণ্ডা দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়, মিথ্যা মামলা দায়েরে গ্রেফতার করা হয়, এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয় অথবা গুম করে দেয়া হয়। অন্যদিকে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ফলে শ্রমিকরা যৌথ দর-কষাকষির স্বাধীনতা, ৬৭% (দুই শতাংশ) শ্রমিক শর্ত সাপেক্ষে ধর্মঘট করার অধিকার লাভের সুযোগ পায়। আসলে ট্রেড ইউনিয়ন হলে শ্রমিকদের স্বার্থ যতোটা না রক্ষা হবে তার চেয়ে বেশি স্বার্থ রক্ষা হবে মালিকদের। এ জন্য মালিকদের নিজেদের স্বার্থে ট্রেড ইউনিয়ন মেনে নেয়া উচিত। ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। যেখানে শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক ভাল সেখানে সাফল্য নিশ্চিত। শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক ছাড়া কোনো শিল্প উন্নতি করতে পারে না। ২০১২ সালের নবেম্বরে তাজরিন ফ্যাশন্স কারখানায় আগুনে ১১৮ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার পর রানা প্লাজা বিপর্যয় ঘটে। এই দুটি ঘটনার পর তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে সরকার ও তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শ্রম অধিকারের উন্নতি করতে আহ্বান জানায়। ২০১৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র জেনারালাইসড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্স (জিএসপি)-এর অধীনে বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্যিক সুবিধা স্থগিত করে। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, এ সুবিধা ফেরত পেতে বাংলাদেশকে কারখানার তত্ত্বাবধান ও পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় উন্নতি আনতে হবে। একই সাথে যেসব কারখান শ্রম অধিকার, অগ্নিকা- ও ভবন নির্মাণে মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে তাদের জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোসহ আমদানি-রফতানি লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে সরকার অধিকাংশ শর্ত পূরণ করলেও এখনো যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে সরকারের উচিত চলমান কাজগুলো আরো গতিশীল করার পাশাপাশি আরো কিছু কাজ চালিয়ে যাওয়া। যেমন- শ্রম আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রাখতে তা সংশোধন করা। শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং কারখানা পরিদর্শন বৃদ্ধি করা। ইউনিয়ন বিরোধী কাজে জড়িত অভিযুক্ত কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা। শ্রমিকদের মারধর, হুমকি ও অপদস্ত করার সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখা ও দায়ীদের বিচারের ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর উচিত কারখানাগুলোতে স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে সমর্থন করা এবং তথাকথিত ভুয়া ইউনিয়ন গঠনকে নিরুৎসাহিত করা। ইউনিয়ন বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধে সরকারের সাথে কাজ করা। স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন এবং উন্নত শ্রম সম্পর্কের সুবিধার ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)কে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা। অন্যদিকে কাপড়ের ব্যান্ডের উচিত বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে শ্রম অধিকার রক্ষায় উৎসাহ দেয়া এবং কারখানা পরিদর্শনের উন্নতিকরণ এবং কারখানাগুলো কোড অব কন্ডাক্ট এবং বাংলাদেশের শ্রম আইন কতোটা মানা হচ্ছে পরিদর্শনে সে বিষয়ক প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা। কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কিত আইনসিদ্ধ চুক্তিতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা। অন্যদিকে খুব দ্রুত উন্নতির দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ক্ষুদ্র গার্মেন্টেস। গাজিপুরের কোনাবাড়িতে গড়ে উঠেছে প্রায় ৪০০ ফ্যাক্টরি। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে রাজধানীর সদরঘাট ও শ্যামপুর এবং অন্য তীরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার আগানগর ও শুভাঢ্যা ইউনিয়ন। আগানগরের ঠিক পশ্চিমে বাংলার চীন নামে পরিচিত জিনজিরা। এরকম বহু জায়গায় ক্ষুদ্র গার্মেন্টেস গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে আগানগর ও শুভাঢ্যায় (কালিগঞ্জে) গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র গার্মেন্টস পল্লী খুলে দিয়েছে অপার সম্ভাবনার দুয়ার। ধীরে ধীরে ব্যাপকতা লাভ করেছে। কেরানীগঞ্জ ক্ষুদ্র গার্মেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম বলেন এই পল্লীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এখানকার গার্মেন্টসে কর্মরত রয়েছে প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক। তার মধ্যে নারী শ্রমিক রয়েছে ২০%। ১ তলা থেকে ৩-৪ তলা পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক টয়লেট এবং নারী-পুরুষের একই দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট ব্যবহার, শিশু শ্রমের ব্যাপকতা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার অভাব ইত্যাদি চরম আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, এ সকল সমস্যা দূর হলে কেরানীগঞ্জ ক্ষুদ্র গার্মেন্টস খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করবে। বর্তমানে এই পল্লী অভ্যন্তরীণ পোশাকের প্রায় ৬০ ভাগ চাহিদা মেটাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ পোষাকের চাহিদা মিটিয়েও এখন বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে। দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এ গার্মেন্টস পল্লীর বিকাশে উল্লেখযোগ্য কোনো সহযোগিতা সরকারের নেই বললেও চলে। এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের একান্ত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন প্রতিক’লতা মোকাবিলা করে এগিয়ে নিচ্ছেন সম্ভবনাময় ক্ষুদ্র এই শিল্পকে। পাঞ্জাবী, শার্ট, ফতুয়া, গেঞ্জি, স্যুট-ব্লেজার, সব রকমের শীতবস্ত্র, শিশুদের কাপড় থেকে শুরু করে নানা ধরনের পোশাক পাওয়া গেলেও এই ক্ষুদ্র গার্মেন্টেস পল্লী বিশেষভাবে বিখ্যাত জিন্স ও গেভার্ডিন প্যান্টের জন্য। বিভিন্ন দেশের নামিদামী ব্র্যান্ডের জিন্স ও গেভার্ডিন প্যান্টের আদলে প্রস্তুতকৃত এখানকার প্যান্ট বিদেশী প্যান্ট হিসেবে বড় বড় শপিংমলে বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। মফস্বলের বিপণী বিতানগুলোতে এর অনেক কদর। এক্সপোর্ট গার্মেন্টের ফেব্রিকস কিনে এখানে ক্ষুদ্র গার্মেন্টস পল্লীর কারিগররা নিজস্ব আদলে তৈরি করছেন চমৎকার সব পোশাক। এ শিল্পকে আরো গতিশীল করতে সরকারের উচিত ক্ষুদ্র গার্মেন্টেসগুলোতে ট্যাক্স ফ্রি সুবিধা, বিদ্যুৎ-গ্যাস সুবিধা পর্যাপ্তকরণ, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সহজশর্তে ঋণ সুবিধা প্রদান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হলে এখানকার ক্ষুদ্র গার্মেন্টেস পল্লী কেবল দেশেই নয়, গোটা এশিয়ার মধ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই মনে করেন অনেকে। অন্যদিকে কেরানীগঞ্জ ক্ষুদ্র গার্মেন্টেস শিল্পকে আনুষ্ঠিকভাবে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা ও তদারকির আওতায় আনতে প্রচেষ্টা চালানো। যারা পরিবারের দারিদ্র্যতার কারণে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বিশেষ করে তাদের লেখা-পড়া চালিয়ে নেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা। মালিকদের ম্যধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেয়া। ট্রেড ইউনিয়ন করতে সহযোগিতা করা। যাতে শ্রমিকরা যৌথ দর-কষাকষির সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। সরকার, দেশী-বিদেশী এনজিও শ্রমিক ও মালিকদের সাথে কাজ করতে উৎসাহিত করা। যখন ক্ষুদ্র গার্মেন্টসগুলোতে বছরের ২-৩ মাস কাজ মন্দা যাবে সেই সময়ে সরকারের উচিত শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করে রেশনিং-এর ব্যবস্থা করা। তাহলে হয়তো এ ক্ষুদ্র গার্মেন্টস ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মূল পোশাক শিল্পের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নতি করতে পারবে এবং সারা বিশ্বে এই পোশাকশিল্প মডেল হিসেবে চিহ্নিত হবে।
-লেখক : প্রোগ্রাম অফিসার বাংলাদেশ লেবার ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন-বিএলএফ

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ