শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

১০ দেশের আশ্রয়ে পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি শরণার্থী -এ্যামনেস্টি

৪ অক্টোবর, ইয়াহু নিউজ : এই গ্রহের অর্ধেক শরণার্থীকে নিজের দেশে স্থান দিয়েছে মাত্র ১০টি দেশ। গতকাল মঙ্গলবার এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ধনী দেশগুলোর স্বার্থপরতা নিয়েও টিপ্পনি কাটে।
লন্ডন ভিত্তিক এ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ২১ মিলিয়ন লোক প্রতিকূল অবস্থায় নিজ দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্য দেশে পা বাড়িয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ৫৬ শতাংশ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে ১০টি দেশ।
এ্যামনেস্টি মহাসচিব সলিল শেঠি জানান, অল্প কিছু রাষ্ট্র এত বেশি পরিমাণে শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার কারণ ওই রাষ্ট্রগুলো সমস্যাগ্রস্থ কয়েকটি রাষ্ট্রের প্রতিবেশি ছিলো।
সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, আফগানিস্তান এবং ইরাকের মতো দেশগুলো থেকে যুদ্ধ এবং নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে কয়েক মিলিয়ন লোক অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে।
শেঠি বলেন, ‘যুদ্ধ এবং নিপীড়ন থেকে বাঁচতে যেসব মানুষ নিজের দেশ ছাড়ে তাদেরকে আমাদের সমাজ কীভাবে গ্রহণ করবে তা নিয়ে বিশ্বনেতাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা ও বিতর্ক করা উচিৎ।’
এ্যামনেস্টি জানায়, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছে জর্ডান। দেশটিতে প্রায় ২৭ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তারপরই আছে তুরস্কের নাম। তুর্কীরা প্রায় ২৫ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে স্থান দিয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের নাম। পাকিস্তান প্রায় ১৬ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। লেবানন দিয়েছে ১৫ লাখ।
এরপর ক্রমানুসারে অন্য দেশগুলো হলো- ইরান (৯ লাখ ৭৯ হাজার ৪০০), ইথিওপিয়া (৭ লাখ ৩৬ হাজার ১০০), কেনিয়া (৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০), উগান্ডা (৪ লাখ ৭৭ হাজার ২০০), কঙ্গো (৩ লাখ ৮৩ হাজার ১০০) এবং চাদ (৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০)।
এ্যামনেস্টি জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে।
এ্যামনেস্টি জানায়, পৃথিবীর অধিকাংশ ধনী রাষ্ট্রই শরণার্থীদের জায়গা দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সংকীর্ণমনা। শরণার্থীদের তারা পারতপক্ষে নিজ দেশে ঠাঁই দিতে চান না।
এ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যদি ধনী রাষ্ট্রগুলো তাদের দেশের ভূমির অনুপাতে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতো তবে এ সমস্যার বেশির ভাগটাই সমাধান হয়ে যেতো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ