রাজধানীর ৫০ মেট্রিক টন শাকসবজির মধ্যে ৩০ টনেই বিষাক্ত কীটনাশক মেশানো
প্রকাশিত: রবিবার ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | প্রিন্ট সংস্করণ
উৎপাদিত, প্যাকেটকৃত, প্রক্রিয়াজাত, তরল ও কঠিন খাদ্যের অধিকাংশ খাদ্যই বিষাক্ত ও ভেজাল। বাজারের কোন খাদ্যে ভেজালের অনুপস্থিত তা নির্ণয় করা এখন গবেষণার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। ঢাকা শহরের এক কোটিরও অধিক লোক প্রতিদিন ৫০ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি খায়। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০ মেট্রিকটনই বিষাক্ত কীটনাশক মেশানো। পাশাপাশি নব নব উদ্ভাবনে তৈরি হচ্ছে ফাস্ট ফুডসহ অন্যান্য খাদ্য। তেমনি সারা দেশের চিত্র আজ এক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ১৯০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পুষ্টিমানের দিক থেকে কিছুটা উন্নত হলেও ফুডসেফটি ক্ষেত্রে সেটা বলা যাবে না। ক্রমাগত জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এসব দেশে নিরাপদ খাবারের অপ্রতুলতা খাদ্য নিরাপত্তা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। যার প্রভাবে আমাদের দেশে এখন নীরব গণহত্যা চলছে। গতকাল শনিবার সকালে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে শাহবাগস্থ বারডেম মিলনায়তনে ‘বিষাক্ত খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি : আমাদের করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ আলোচকগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন ফুড সায়েন্সের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খুরশিদ জাহান ও অধ্যাপক খালেদা ইসলাম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)'র সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ঢাবির প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নুরজাহান সরকার, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক ড. লেলিন, প্রাইম ইউনিভার্সিটির ডীন ড. হেলালুজ্জামান, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান প্রমুখ।
পবা'র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, বিষাক্ত খাদ্যের প্রভাবে নানা ধরনের দুরারোগ্য জটিল রোগের পাদুর্ভাব আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়-স্বজনের ভোগান্তি ও কর্মশ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে যেয়ে রোগীর পরিবার-পরিজন সর্বশান্ত হচ্ছে। তাছাড়া স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে সৃষ্ট এ সামাজিক ব্যাধি প্রতিকারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।