শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ডাক্তার সংকটে কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা : ডাক্তার সংকটে কলারোয়া হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। প্রায় ৬ মাস যাবৎ বন্ধ হয়ে গেছে গর্ভবতী মায়েদের জীবন রক্ষায়  জরুরি অপারেশন।
জানা গেছে, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ৩১ জন ডাক্তারের মধ্যে মাত্র ১২ জন ডাক্তার পোস্টিং দেয়া হয়েছে। ১২ জন ডাক্তারের মধ্যে প্রশাসনিক পদে কর্মরত ডা. রফিকুল ইসলাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগ হয়ে পড়েছেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রক মেডিকেল অফিসার প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামগজ্ঞ পরিদর্শনে ব্যস্ত থাকেন। জরুরি বিভাগে কাজ করার পর একজন বিশ্রামে থাকেন ১ জন, একজন জরুরি বিভাগে কর্মরত থাকেন এবং ১ জন জরুরি বিভাগে কাজে আসার অপেক্ষায় থাকেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে কর্মরত কলারোয়া হাসপাতালের ডা. আসাদুজামান এবং ডা. প্রবীর কুমারকে বাদ দিয়ে কলারোয়ার প্রায় ৪ লাখ সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় ৪ ডাক্তার রয়েছে। এরমধ্যে প্রায়শ ১ জন ডাক্তার ছুটিতে থাকেন। জরুরি বিভাগ ছাড়া গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শুধুমাত্র ডাক্তার শান্তি মোহন ভদ্র এবং ডা. শফিকুল ইসলাম-এই দুজন ডাক্তারকে রোগীর ব্যবস্থা পত্র দিতে দেখা যায়। এই অবস্থায় ডাক্তারের অভাবে প্রতিদিন গ্রামগঞ্জের শতশত রোগী চিকিৎসা নিতে এসে হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে। তাছাড়া ১ বা ২ জন ডাক্তারের শতশত রোগী দেখতে তাড়াহুড়ার কারণে সুচিকিৎসা জোটে না সাধারণ মানুষের কপালে। এই সুযোগে বেসরকারী ক্লিনিকের সুন্দরী নার্সেরা হাসপাতালে এসে প্রতিনিয়ত সাধারণ রোগীদের ভাগায়ে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গত ডিসেম্বরে’১৫ এনেসথেসিয়া ডাক্তার উচ্চ শিক্ষাজনিত ছুটিতে যাওয়ায় গর্ভবতী বা প্রসূতি মায়ের জীবন রক্ষায় জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত ইউওসি সার্ভিস প্রায় ৬ মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ গর্ভবতী মাতাদের কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। এই সুযোগে কলারোয়ার ১৮ বেসরকারি ক্লিনিক গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে জমজমাট ব্যবসা করে যাচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ