যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫০
অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরে সমকামীদের এক নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো বেশি জন। আর এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী বা আইএস।
যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবার মধ্যরাতে ঐ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীকে হত্যা করেছে পুলিশ।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একে সন্ত্রাস এবং বিদ্বেষের কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে, লস এঞ্জেলেসেও সমকামীদের সমাবেশে হামলার এক পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সমকামীদের নাইটক্লাবে হামলার সময় হামলাকারী বন্দুকধারী পুলিশকে ফোন করে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী বা আইএস-এর প্রতি আনুগত্যের কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তবে আইএস কতটা জড়িত ছিল সেবিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
আইএসের সাথে সংশ্লিষ্ট আমাক সংবাদ সংস্থা বলছে, হামলাটি চালিয়েছে একজন 'আইএস যোদ্ধা'।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, ২৯ বছর বয়সী বন্দুকধারী তরুণের নাম ওমর মতিন। তার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে হলেও তার বাবা-মা আফগান।
শনিবার মধ্যরাতে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরের ‘পালস’ নামের নাইটক্লাবটিতে ঢুকে গুলি চালায় মতিন। তাতে ৫০ জন নিহত হয় সেখানে। আহতের সংখ্যা তারচেয়ে বেশি।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর সেখানে ঢুকে তাকে হত্যা করে পুলিশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একে সন্ত্রাস ও বিদ্বেষের কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
"বন্দুকধারীর কাছে একটি হ্যান্ডগান এবং একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ছিল। এতেই প্রমাণ হয় কত সহজেই বন্দুকের ব্যবহার করে এখানে স্কুল বা আবাসিক এলাকা বা নাইটক্লাবে হামলা করা যায়"। বলেন মি. ওবামা।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মিস্টার ট্রাম্প মুসলিম মৌলবাদীদের দায়ী না করায় প্রেসিডেন্ট ওবামার পদত্যাগও দাবি করেছেন।
এদিকে, গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রন হপার জানিয়েছেন, এই হামলাকারী ওমর মতিন সম্পর্কে ২০১৩ এবং ১৪ সালেও তদন্ত করা হয়েছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বন্দুকধারীর হামলায় এত বেশি হতাহতের ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
-বিবিসি
ডি.স/আ.হু