শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলছে খুলনার অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক

খুলনা অফিস : পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়া ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলছে খুলনার অধিকাংশ সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। এসব ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেই প্রশিক্ষিত জনবলও। ফলে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। গত বছরের ২০ জুলাই ও ৬ নবেম্বর খুলনার দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এছাড়া শুক্রবার রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে অগ্নিকান্ড ঘটলেও ফায়ার সার্ভিসের সময়োপযোগী পদক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরীসহ খুলনা জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে প্রায় আড়াইশ’। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অধিকাংশে অগ্নিকান্ড মোকাবেলায় তেমন কোন ব্যবস্থা নেই।
খুলনা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওণার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ শওকত আলী লস্কর জানান, খুলনা মহানগরীতে প্রায় ১১২টিরও বেশি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকের অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম রয়েছে। তবে অনেকের নেই। অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি দু’টি হাসপাতালে আগুন লেগেছে। এতে রোগী ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়েছে। আর যাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই তাদের নিয়ে বেশি শঙ্কা। তিনি বলেন, এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় বৈঠক করে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে জোর দেয়া হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক শেখ মিজানুর রহমান জানান, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, আবাসিক ভবন ছাড়া একতলা বিশিষ্ট ভবনের ফ্লোর এরিয়া যদি ৫০০ স্কোয়ার মিটারের উর্ধ্বে হয় তাহলে সেই ভবনে ফায়ার প্রটেকশন জরুরি। এমন কি বহুতল ভবনের ন্যায় এখানে ফায়ার প্রটেকশন থাকতে হবে।
ক্লিনিকগুলোতে সাধারণত, রোগীদের জন্য সাধারণত ১০ থেকে ১৫ বেডের নিচে থাকে না। এছাড়া ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী, নিরাপত্তা প্রহরীতো রয়েছে। ফলে এসব স্থানে ফায়ার প্রটেকশন থাকতে হবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে এসব ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকদের পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অথচ খুলনার অধিকাংশ ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিজস্ব ফায়ার প্রটেকশন ব্যবস্থা নেই। নেই কোন পূর্ব পরিকল্পনা। তিনি বলেন, আগুন লাগলে কিভাবে নির্বাপণ করবে, রোগী, নার্স ও ডাক্তারদের নিরাপত্তায় কি করতে হবে, কখন ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিতে হবে এ বিষয়ে অনেকেরণ পূর্ব পরিকল্পনা নেই। সেই সাথে প্রশিক্ষিত জনবলও নেই। আর যাদের রয়েছে তাও পর্যাপ্ত নয়। দেয়া হয় না নিয়মিত মহড়া। এসব ভবনগুলোতে ফায়ার প্রটেকশন থাকা খুবই জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেণ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ