ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

বার কাউন্সিল নির্বাচনে স্থগিতাদেশ: আপিলের রায় ২৮ মে

আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে আপিলের রায় ঘোষণার জন্য ২৮ মে  দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এরআগে গত বৃহস্পতিবার আগামী ২৭ মে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একই সঙ্গে বার কাউন্সিল নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২০০৩ সালে সংশোধিত বার কাউন্সিল অধ্যাদেশের ৩ ধারা কেন অবৈধ ও সংবিধানের সাথে সংঘর্ষিক হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করা হয়। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দের  আলাদা দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত স্থগিতাদেশসহ এই রুল জারি করেন।

একই দিনে হাইকোর্টের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে বার কাউন্সিলের সচিব ও তিন প্রার্থী চেম্বার বিচারপতির কাছে  আলাদা দু’টি আবেদন করেন। এরপর আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন  চেম্বার বিচারপতি। রোববার আপিল বিভাগে এ আবেদনের শুনানি হয়।

 আইনজীবী ড. আকন্দ জানান, গত ১৭ মে পৃথক ওই রিট আবেদন দুটি করা হয়। ভোটার তালিকায় ত্রুটি ও তা সময়মতো প্রকাশ না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল অবৈধ ঘোষণা চেয়ে একটি আবেদন করা হয়। অপর আবেদনে তিনি বার কাউন্সিল (সংশোধিত) আইন, ২০০৩-এর ৩ ধারা অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা চান।

গত ২৫ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও ৯ এপ্রিল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে ভোটার সংখ্যা দেখানো হয় ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন। ২০ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটার তালিকায় ত্রুটি ও একই নাম একাধিকবার থাকার অভিযোগ জানিয়ে কাউন্সিলের নির্বাচিত পাঁচ সদস্য এবং ১০১ জন আইনজীবী ২৯ এপ্রিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেন। এতে অভিযোগ করা হয়, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও কাউন্সিল নিজস্ব নথির সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল বিশেষ সভা ডাকেন, যাতে নির্বাচন সাত দিন পিছিয়ে ২৭ মে করা হয়।
-শীর্ষনিউজ ডট কম

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ