পাড়ায়-মহল্লায় ২০ দলের সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশ খালেদার
অনলাইন নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস প্রতিরোধে ২০-দলীয় জোটের নেতৃত্বে প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোটনেত্রী খালেদা জিয়া।
সোমবার বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের পক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ খালেদা জিয়ার এ নির্দেশের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস প্রতিরোধে ২০-দলীয় জোটের নেতৃত্বে দেশের সকল পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।’
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একদলীয় সংসদ, একদলীয় জনপ্রশাসন ও একদলীয় বিচারব্যবস্থা কায়েমের নীলনকশা বাস্তবায়নের লক্ষেই আওয়ামী লীগ প্রহসনমূলক একদলীয় নির্বাচনের আয়োজন করেছিল। দৃশ্যতঃ রাষ্ট্রের সকল অঙ্গই এখন একীভূতভাবে শাসন বিভাগের অধীন হয়ে পড়েছে।’
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘কার্যতঃ শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের আলাদা অস্তিত্ব ও ভারসাম্যতা এখন বিরাজমান নেই। ফলে অনিবার্যভাবেই রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের কবলে নিপতিত হয়েছে দেশ ও জাতি।’
তিনি বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের জনগণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট ক্ষুন্ন হলেই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতএব, দেশের সকল স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই দেশ ও জাতিকে এই বিপন্ন অবস্থা থেকে মুক্ত করতে হবে।’
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন কারো ক্ষমতারোহণের আন্দোলন নয়। সুতরাং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েই জাতির গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিঘ্নিত করে আওয়ামী লীগ সংবিধানকেই একটি ফ্যাসিবাদী একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের হাতিয়ারে পরিণত করেছে।’
আর ১৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে বিচারপতিদের অভিশংসনের বিধান যুক্ত করে বিচার বিভাগকে পরোক্ষভাবে শাসন বিভাগ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের অধীনস্থ অঙ্গে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া আওয়ামী লীগকে রক্ষ করতে এবং অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার কুমানসে গণহত্যার প্রকাশ্য দাম্ভিক ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সকল গণহত্যার হুকুমের আসামি হওয়া নিশ্চিত করেছেন।’
সালাহ উদ্দিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘পুলিশি তাণ্ডবের কল্যাণে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার আওয়ামী চক্রান্ত কখনোই সফল হবে না। রক্ষীবাহিনীর গণহত্যাও বাকশাল এবং আপনার বাবা কাউকেই রক্ষা করতে পারেনি। অতএব, গণহত্যা, দমণ-পীড়ণ, জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করুন।’
জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিরোধের মুখেই অবৈধ লুটেরা সরকারের পতন অনিবার্য বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গণদাবির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন। তাহলেই আপনাদের নিরাপদ অবতরণের বিষয়টি জনগণ সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।’ #