ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ঢাকা বার নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের নিরঙ্কুশ জয়

ঢাকা বারের (আইনজীবী সমিতি) নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে আ’লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ ২৫টির পদের মধ্যে ২০টিতে জয়লাভ করেছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল।
তিনটি প্যানেল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচন করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সাদা ও নীল প্যানেলের মধ্যে।
শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি এস এম আলতাফ হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি পদে নীল প্যানেলের অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ৪৫৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক পেয়েছেন ৪৩৩২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ৪৬৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ৪০৫৭ ভোট।
এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সাদা প্যানেলের মোশাররফ হোসেন ৪৪৭৩ ও নীল প্যানেলের আফরোজা বেগম শেলী পেয়েছেন ৪৪৫০ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে নীল প্যানেলে হারুন রশিদ খান ৪৫৭৭ ও সাদা প্যানেলের তারিক হোসেন পেয়েছেন ৪২৬৩ ভোট।
ট্রেজারার পদে সাদা প্যানেলের মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৪৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেলের আবু বক্কর সিদ্দিকী পেয়েছেন ৪৪১২ ভোট।
সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের হাফিজুর রহমান হাফিজ পেয়েছেন ৪৪২৪ ভোট ও সাদা প্যানেলের আব্দুস সালাম খান পেয়েছেন ৪২৯৮ ভোট।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ৪৮১৬ পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া পেয়েছেন ৪০১৩ ভোট।
লাইব্রেরি সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের মাজেদুর রহমান মামুন পেয়েছেন ৪৮৯২ ভোট ও সাদা প্যানেলের আলী আহমেদ পেয়েছেন ৩৯৪৮ ভোট।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের আকলিমা আক্তার আলো ৪৩৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ পেয়েছেন ৪২৮৫ ভোট।
দফতর সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের শেখ আলাউদ্দিন ৪৬৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আব্দুল হাই মামুন পেয়েছেন ৩৯৩১ ভোট।
১৫টি সদস্য পদের মধ্যে ১২টি পদে নীল প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হন।
তারা হলেন- ফাতিমা ইয়াসমিন, রেহানা পারভীন, শাহনাজ পারভীন জোসনা, মিজানুর রহমান মিজান, মজিবর রহমান, মোস্তফা কামাল, শাহ আলম, মোহাম্মাদ কামাল হোসেন, মোহাম্মাদ বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মাদ আব্দুল হান্নান খন্দকার, মোহাম্মাদ আবুল কাশেম ও শফিকুল ইসলাম।
বাকি তিনটি সদস্য পদে সাদা প্যানেল জয়ী হয়। সাদা প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- ফাতেমাতুজ জহুরা মনি, লিলিয়া আক্তার লিলি ও তপো গোপাল ঘোষ।
নির্বাচনে মোট তিনটি প্যানেল থেকে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল এবং দলনিরপেক্ষ সবুজ প্যানেলের ব্যানারে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেন।
২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে।
এবারের নির্বাচনে মোট ১৫,৩৭২ ভোটারের মধ্যে ৯০৯২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ২৫টি পদে মোট ৬১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর মধ্যে ১০টি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ২৬ জন এবং ১৫টি সদস্য পদের বিপরীতে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি এস এম আলতাফ হোসেন।
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন- অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম হিরন, অ্যাডভোকেট হাজী মো. মোহসীন, অ্যাডভোকেট আহমদ উল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর, মো. শামসুজ্জামান ও মো. মতিউর রহমান ভূঁইয়া।
গত ২০১৪ ও ২০১৫ বর্ষের নির্বাচনে সভাপতি ও সম্পাদকীয় পদে ১০টিসহ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল ১৯টি পদে জয়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল সদস্য পদ পায় মাত্র ৬টি পদে।



অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ