ঢাকা, শুক্রবার 19 April 2024, ০৬ বৈশাখ ১৪৩০, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

রাজধানীতে জামায়াতের মিছিল সমাবেশ

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহাগনগরীর সহকারী সেক্রেটারী মোবারক হোসাইন বলেছেন, সরকার অপশাসন ও দুঃশাসনের কারণে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রমাদ গুণতে শুরু করেছে। তারা জনগণকে সভা-সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রমাণ করেছে আওয়ামী কোন গণতান্ত্রিক শক্তি নয়। তারা জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই বাস্তবায়িত হবে না বরং দুর্বার গণআন্দোলনের স্বৈরাচারী, বাকশালী ও ফ্যাসীবাদী  সরকারের পতন ঘটানো হবে। তিনি জালিম সরকারের পতনের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
আজ শনিবার রাজধানীতে ২০ দলীয় জোট ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি পল্লবীর কালসী রোড থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সালাম, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, সোলাইমান হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল  মাহমুদ, জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম আকন্দ, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মতিন খান, আলাউদ্দীন মোল্লা, আশরাফুল আলম ও ছাত্রনেতা তামীম আহমদ প্রমূখ।
মোবারক হোসাইন বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। সরকারী দলের হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম ও অপহরণে দেশের মানুষ দিশেহারা। ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাত চলছে সমান তালে। মূলত সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়  বলেই গণমানুষের জন্য তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তারা ৫ জানুয়ারীর তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা দলন-পীড়ন চালিয়ে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। কিন্তু জুলম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি, আওয়ামী লীগেরও শেষ রক্ষা হবে না বরং ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।
পল্টন-মতিঝিল জোন: পল্টন-মতিঝিল জোনের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিজয়নগর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন ও অধ্যাপক মোকাররাম হোসাইন খান। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মোস্তফা মোঃ জামাল, আহসান হাবীব, আলমগীর হোসাইন, আ ফ ম ইফসুফ, আব্দুর রহমান, আব্দুস সাত্তার সুমন ও সুলতান উদ্দীন প্রমূখ।
সমাবেশে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই বলেই তারা জনগণের গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে বাধা প্রদান করছে। তারা পরিকল্পিতভাবেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকার জনগণকে ভয় পায় বলেই পরিকল্পিতভাবে গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কিন্তু কালাকানুন জারি করে স্বৈরাচারী সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বরং জনগণ দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে। তিনি সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
মহাখালী রেলগেইট: ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের জনসভায় ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদের নগরীর মহাখালী রেল গেইটে তেজগাঁও থানা জামায়াতের আমীরের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার আমীর ও সেক্রেটারীসহ স্থানীয়  জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
শেরেবাংলানগর থানা: গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে শেরেবাংলাগর থানা আমীর অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে আগারগাঁও ৬০ ফিট রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারী আব্দুল আউয়াল আজম, জামায়াত নেতা রবিউল ইসলাম রুবেল, আব্দুল আলীম, তৌহিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আসাদ প্রমূখ। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ বিনা উস্কানীতে সমাবেশের উপর হামলা চালায়  এবং ১ জনকে গ্রেফতার করে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ