বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চীনের গণআদালতে উইঘুর ইমামসহ ২০ জন মুসলমানের কারাদন্ড

আরটিএনএন : চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী উইঘুর মুসলমানদের ইমামসহ প্রায় দুই ডজন মুসলমানকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। ইসলাম প্রচারের অভিযোগে তাদের এই সাজা দেয়া হয়।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত চীনা নিউজ সার্ভিসের (সিএনএস)  রিপোর্ট হতে এ তথ্য জানা যায়। জিনজিয়াং প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিম সংখ্যালঘুরা উইঘুর হিসাবে পরিচিত। 
সোমবার জিনজিয়াং প্রদেশের একটি গণআদালতে ২০ জন সন্দেহভাজনকে ৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে দন্ডিত করা হয়।
সিএনএসের রিপোর্টে আরো বলা হয়, ধর্মীয় ইমামদের পাশাপাশি মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের, যারা ধর্মীয় কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, এ সাজা প্রদান করা হয়। এর আগে তাদের কর্মস্থল হতেও বরখাস্ত করা হয়। রিপোর্টে আরো বলা হয়, অন্যদের বিরুদ্ধে জাতিগত ঘৃণা ছড়ানো, আইন লংঘন, সংঘর্ষ সৃষ্টির চেষ্টা এবং প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়।  
নির্বাসিত উইঘুর নেতারা বলেন, উইঘুর মুসলিমদের ধর্ম এবং সংস্কৃতির উপর চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ সেখানে সহিংসতার একটি অন্যতম কারণ।  নির্বাসিত বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস এক বিবৃতিতে চীন সরকার কর্তৃক এই শাস্তি প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এটি একটি ধর্মীয় নিপীড়ন যার মাধ্যমে উইঘুরদের অধিকারকে নির্মমভাবে পদদলিত করা হল।’ গ্রুপটির একজন মুখপাত্র ডাইলাক্ট রেক্সিট বলেন, ‘তথাকথিত বৈধ ও অবৈধ ধর্ম পৃথকীকরণ প্রকৃত পক্ষে চীনের রাজনৈতিক চাহিদার ভিত্তিতে নির্ধারিত করা হচ্ছে।’ ‘চীনে উইঘুরদের ধর্ম পালনের কোনো অধিকার দেয়া হয়নি।’
জিনজিয়াং প্রদেশে গণসাজার এই ঘটনা একটি সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায়ই বন্দিদের প্রকাশ্য মিলনায়তনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য প্রচার করে থাকে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো গণবিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের নিন্দা জানিয়েছে। তারা অভিযুক্তদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার করার দাবি জানাচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে দেশটির বিশিষ্ট একজন ইসলামী চিন্তাবিদকে চীনের একটি আদালত যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করে। তিনি উইঘুরদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। চীন চিন্তিত যে নিকটবর্তী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে জিনজিয়াং এর মুসলিমরা সাহায্য পেতে পারেন। সূত্র: রয়টার্স

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ