সন্ত্রাসীদের ভূমিকায় নেমেছে পুলিশ -ছাত্রশিবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে পুলিশের হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল সোমবার এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার, সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান এবং চবি শিবির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা পুলিশ উল্টো নিরপরাধ ছাত্রদের ছাত্রাবাসে লুটপাট ও গণগ্রেফতার করে যে অমানবিক আচরণ করেছে তাতে দেশবাসী হতবাক। কোন কারণ ছাড়াই গতকাল বেলা ২টা থেকে শুরু করে ২ ঘন্টারও অধিক সময় পর্যন্ত পুলিশ ছাত্রবাসে হামলা চালিয়ে বই পত্র, চেয়ারটেবিল আসবাবপত্রসহ ছাত্রদের সব কিছু নিয়ে গেছে। সন্ত্রাসীদের মত নির্বিচারে ভাংচুর করা হয়েছে ছাত্রাবাসের বিভিন্ন জিনিসপত্র। এসময় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৪০ জনকে। এমনকি গ্রেফতার তান্ডব থেকে রক্ষা পায়নি দোকানের কর্মচারী, কটেজ মালিকসহ বৃদ্ধরাও। এমন বর্বর আচরণ করে পুলিশ নিজেদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, পুলিশ ছাত্রদের নিরাপত্তা না দিয়ে উল্টো যদি সন্ত্রাসীদের মত তান্ডব অব্যাহত রাখে তাহলে ছাত্রসমাজ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্তি দিতে হবে। লুট করা মালামাল ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজ নিজেদের জান-মাল রক্ষায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, ছাত্ররা আপনাদের কাছে আসে ভবিষ্যৎ গড়তে, ধ্বংস করতে নয়। ছাত্রলীগ ও পুলিশের তান্ডবে সাধারণ ছাত্রদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠলেও তাদের রক্ষায় কার্যকর কোন ভূমিকা পালন করছেন না। ছাত্রদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করুন। গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায় নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও মালামাল ফেরত দিয়ে ভবিষ্যতে এমন ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।