শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

শাপলা চত্বরের গণহত্যার তালিকা হেফাজতের কাছে রয়েছে

খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্ল¬াহ আশরাফ গত বুধবার জাতীয় সংসদে দেয়া শেখ ফজলুল করিম সেলিমের “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে ৫ মে শাপলা চত্বরে কেউ নিহত হয়েছে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিবো”  বক্তব্যের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বলেন, গত ৫ মে গণহত্যায় শত শহীদের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ভিডিও চিত্র ও মিডিয়ার নিকট প্রামাণ্য চিত্রে নির্মম গণহত্যা ও লাশ গুমের প্রমাণ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে জাতীয় সংসদে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করে আর ভোট নেয়া যাবে না। আধুনিক যুগে মানুষ অনেক সচেতন। সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল তথ্য ও সংবাদের ব্যাপারে অবগত। সুতরাং যত মিথ্যা বলা হবে ততই গণমানুষের আস্থা হারাতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে দেড় লক্ষাধিক গোলাবারুদ কেন কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে জাতি জানতে চায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে  উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্ল¬াহ মিয়াজী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মুহাম্মদ আজম খান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা হাফেজ আবু তাহের ও মাওলানা সলিমুল্লাহ প্রমুখ।

মাওলানা আশরাফ আরো বলেন, চার সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের মূল কারণ হচ্ছে আল্লাহ ও আল্ল¬াহর রাসূল (সাঃ)-এর সম্মান রক্ষার দাবিতে আন্দোলনরত নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতা ও রাতের অন্ধকারে ইবাদতরত, ঘুমন্ত ও নিরপরাধ হেফাজত কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলী করে গণহত্যা করা। ৫ মে হেফাজতের লোকেরা কোন তা-ব চালায়নি। যে সরকার বিনা দোষে দেশব্যাপী মিথ্যা মামলা দিয়ে আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার, হয়রানি করে ঘর ছাড়া করছে। নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতা এ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশ ছাড়া করবে। ইনশাল্লাহ।

মাওলানা আশরাফ বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে গণহত্যা করা হলো, আবার এ গণহত্যাকে মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ মহাজোট নেতৃবৃন্দ অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দাম্ভিকতা ও কোন কোন মন্ত্রীদের লাগামহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচার বন্ধ করা না হলে শুধু সিটি নির্বাচন নয়, জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের ভরাডুবি নিশ্চিত।

তিনি বলেন, সরকারদলীয় ক্যাডার ও আওয়ামী পুলিশরাই নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং কুরআন পোড়ানোর মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে হেফাজতের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এদেশের জনগণ ইসলামপ্রিয় নবী প্রেমিকদের ওপর এ নিষ্ঠুর আচরণ মেনে নিতে পারেনি। আর এ নিষ্ঠুর ও বর্বরতার ইতিহাস জাতি কোনদিন ভুলবে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ