মতামত কলাম
বিশ্বব্যাপী সাহায্য বন্ধ করলেন ট্রাম্প
যতটা ধারণা করা হয়েছিল ততটাই দ্রুতগতিতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু বিধি-ব্যবস্থা জারি করেছেন। বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা মনে হচ্ছে আর বিশ^নিয়ন্তা থাকতে চাইছে না, ‘আমেরিকা ফাস্টর্’ নীতি নিয়ে তিনি শুধু আমেরিকানদেরই সেবা দেবেন।
যতটা ধারণা করা হয়েছিল ততটাই দ্রুতগতিতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু বিধি-ব্যবস্থা জারি করেছেন। বিশ^ মোড়ল আমেরিকা মনে হচ্ছে আর বিশ^নিয়ন্তা থাকতে চাইছে না, ‘আমেরিকা ফাস্টর্’ নীতি নিয়ে তিনি শুধু আমেরিকানদেরই সেবা দেবেন। এ লক্ষ্যে তিনি দুটি দেশ ছাড়া সব দেশে মার্কিন সহায়তা ৯০ দিনের জন্য বন্ধ করেছেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করেছেন। অভিবাসন নীতিতে মোটা দাগে পরিবর্তন এনেছেন।
নির্বাচনে জিতলে ফেডারেল সরকারের কর্মসূচিগুলোর বড় এক অংশ বাদ দেওয়া ও ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। স্পষ্টভাবে তিনি বলেন, তাঁর রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সব ফেডারেল কর্মসূচি ও অনেক কর্মীর দায়িত্ব পর্যালোচনা করে দেখতে চান তিনি। বিদেশী অনুদান বন্ধ করে কী করতে চাইছেন আসলে ট্রাম্প? বিশ্লেষকরা বলছেন, এ যেন নতুন এক আমেরিকা! প্রেসিডেন্ট পদে বসেই সব বদলে দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশকে বন্ধ করে দিলেন সমস্ত আর্থিক সাহায্য। তবে বাদ পড়েছে দুই দেশ। ইসরাইল আর মিসর। এদেশ দু’টিই শুধুমাত্র আমেরিকার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবে বলে জানা গেছে।
নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, বিদেশী আর্থিক সাহায্যের জন্য নতুন করে কোনও বরাদ্দ করা হবে না। নতুন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়বে একাধিক দেশে, বিশেষ করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। জো বাইডেনের জমানায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে বিপুল আর্থিক ও সামরিক সাহায্য করেছিল আমেরিকা। ট্রাম্প এসেই সে সাহায্য বন্ধ করে দিলেন। অন্যদিকে, আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এইচআইভি প্রতিরোধে যে অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ কেনা হত, তাও স্থগিত হয়ে যাবে, কারণ ওষুধগুলো মূলত আমেরিকার অর্থ সাহায্যেই কেনা হত। তবে খাদ্যসামগ্রী কেনার জন্য সুদান, সিরিয়ার মতো দেশে যে আর্থিক সাহায্য করা হত, তা জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফরেন ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্টেন্সে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে জানিয়েছেন, আমেরিকার বিদেশনীতির সঙ্গে নীতিগুলোর পর্যালোচনা করা হবে। তারপরই অনুদান নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরাইল ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
মধ্যপ্রাচ্যে ইউএসএইড মিশনের সাবেক পরিচালক ডেভ হার্ডেন বিবিসিকে বলেছেন, এ পদক্ষেপ “অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ”, যা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে মানবিক এবং উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচিগুলোকে স্থগিত করে দিতে পারে। তিনি জানান, বিদেশী সহায়তা বন্ধের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং আশ্রয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে পড়তে পারে। তবে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য তিনি ছাড়পত্র জারি দিয়েছেন। অর্থাৎ গাজা ও অন্যান্য যেসব জায়গায় খাদ্য সংকট চলছে সেখানে জরুরি খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপটি এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতির পর মানবিক সাহায্য বৃদ্ধি পেয়েছে ও সুদানের মতো বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের ঘটনা চলছে।
মার্কিন সরকারের নীতিতে নিজের প্রভাব রাখতে প্রেসিডেন্টদের মূল হাতিয়ার এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশ। এক্সিকিউটিভ অর্ডার হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া একটি লিখিত আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাহী আদেশের বদৌলতে সাধারণ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নীতি নাটকীয়ভাবে পুরোপুরি উল্টে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। ফলে জলবায়ু সংক্রান্ত আগের মার্কিন নীতির উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে বিতর্কিত দুটি তেল পাইপলাইনের নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। যা পূর্বসূরী ওবামা প্রেসিডেন্সির নীতিগত অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। ওবামা আমলে ২০১৫ সালে ক্রিসমাস ইভে (বড়দিনের আগের সন্ধ্যা) সরকারি দপ্তরগুলো আধাবেলায় ছুটি দেয়ার মতো সাধারণ সিদ্ধান্তও নির্বাহী আদেশে পাল্টে দেয়ার নজির আছে মি. ট্রাম্পের।
ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপরেও এমনটাই খবর। বড় প্রভাব পড়তে পারে আমেরিকার এশিয়া অঞ্চলের প্রধান মিত্র দেশ ভারতেও। প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব এবং পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আরও যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সমস্যা ভারতেও হবে ব্যাপকভাবে।
অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর হবে বলে জানিয়ে বিশ্লেষকরা বলেছেন এখন পর্যন্ত পাওয়া সব তথ্য অনুযায়ী অভিবাসন নিয়ে মোট ছয়-সাতটি নির্বাহী আদেশ জারি হতে পারে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ক আদেশে ট্রাম্প সই করেছেন। তারা বলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে মোড়ল মেনে যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, তা ভেঙে পড়ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এতসব কিছু ট্রাম্প করবেন এটা আগে থেকেই ধারণা করা যাচ্ছিল। কিন্তু আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট চাইলেই সব করতে পারেন না। এখানে আদালত ও মার্কিন কংগ্রেস একটি বড় ফ্যাক্টর। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। গত ২৩ জানুয়ারি ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে বিচারক জন কফেনর এ সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী, ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে সব ফেডারেল সহায়তা কর্মসূচির তহবিল স্থগিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনার কিছু অংশ মঙ্গলবার সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একজন ফেডারেল বিচারক। এ পরিকল্পনা কার্যকর হওয়ার কথা যখন ছিল, তবে এর ঠিক আগমুহূর্তে আদালত এ স্থগিতাদেশ দেন। ডিস্ট্রিক্ট জজ লরেন আলিখান আগামী সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পরিকল্পনার অংশবিশেষ স্থগিত করেছেন। ওই দিন এ বিষয়ে আরেকবার শুনানির জন্য সময় ধার্য করেছেন বিচারক। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে দেশটির ভূখ-ে জন্ম নেওয়া সবার নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। বিচারক জন কফেনরকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আদালতে এক শুনানির সময় তিনি বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টভাবেই একটি অসাংবিধানিক আদেশ।’
অন্যদিকে ‘ওপেন অ্যাওয়ার্ডস’ নামের একটি কর্মসূচিতে ফেডারেল সরকারের ইতিমধ্যে অনুমোদন দেওয়া তহবিল স্থগিত করার পরিকল্পনা ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের। কিন্তু প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জ করে। এটি আমলে নিয়ে পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন আংশিক আটকে দেন আদালত। বিচারক বলেন, এ আদেশ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার একটি উপায় হিসেবে কাজ করবে। প্রকৃত অর্থে আদালতের স্বার্থেই এ স্থগিতাদেশ।
ট্রাম্পের নীতির ধাক্কা কতটা বাংলাদেশে? বাংলাদেশে মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক ব্রায়ান অ্যারনের স্বাক্ষর করা চিঠিতে রোববার বলা হয়েছে, “পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির আওতাধীন সব প্রকল্প ও কর্মসূচির মার্কিন অংশের ব্যয় বন্ধ থাকবে।” ইউএসএআইডি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশকে প্রায় ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা দেয়ার চুক্তি করে। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২০২৬ সালের জন্য বাংলাদেশ ও ইউএসএআইডির মধ্যে একটি নতুন ডিওএজি (ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর হয়। ডিওএজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসএআইডি মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। বিভিন্ন চুক্তির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ফান্ড দিয়েছে।
ইউএসএআইডিসহ বিদেশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) অর্থ সহায়তা দেয়ার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া বজায় রাখবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের জন্য তারা যে সহায়তা দেন, সেটা বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তা কতদিন বন্ধ রাখতে পারবে সেটা নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দিহান। তার ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রয়োজন।
এসব দেশকে সহায়তা না দিয়ে তারা ব্যবসা করতে পারবে কি না সে প্রশ্নও আসছে। বাংলাদেশের জন্যও একই কথা। আমেরিকায় ফরেন পলিসির ক্ষেত্রে খুব বেশি হেরফের হয় না। বাইডেন প্রশাসনের যা ছিলো, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই একই ফরেন পলিসি থাকবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তারা বলছেন, এসব আদেশের ভালো ও মন্দ উভয় দিকই আছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। সে তুলনায় সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে সামরিক সহায়তা বন্ধ হলে বিশ্বের কিছু মানুষের জীবনে শান্তি আসবে। ইসরাইলে বিপুল সাহায্য দেয়ার কারণে তারা গাজায় প্রায় ৪৭ হাজার লোককে নির্বিচারে হত্যা করেছে। ইসরাইলে সে সহায়তা বন্ধ হচ্ছে না। যদিও সেখানে আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে। সামরিক সহায়তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে এটা তারা এতদিন করে এসেছে। উদারনীতিবাদী বিশ্বব্যবস্থায় এটা করতে হয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প বৈশ্বিক নেতৃত্ব থেকে সরে আসার কথা বলেছেন। এবারও একই বয়ান নিয়ে অগ্রসরমান। তিনি কতটুকু যেতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক