জাতীয়
চীন বাংলাদেশকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা করবে: রাষ্ট্রদূত
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বেইজিং সফরকালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ইয়ালুজাংবু-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’-এর আওতায় বেইজিং এ সহায়তা প্রদান করবে।
চীন জলবিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বেইজিং সফরকালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ইয়ালুজাংবু-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’-এর আওতায় বেইজিং এ সহায়তা প্রদান করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠককালে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে, চীনা রাষ্ট্রদূত ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারী চীনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরের বিস্তারিত পররাষ্ট্র সচিবকে অবহিত করেন।
স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত এই সফরের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সফরে ‘ইয়ালুজাংবু-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ স্বাক্ষর, বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ইউনান প্রদেশে তিনটি শীর্ষস্থানীয় চীনা হাসপাতাল মনোনীত করার সিদ্ধান্ত, ঢাকায় একটি বিশেষজ্ঞ চীনা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, ঢাকায় চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।
সফলভাবে এ সফর আয়োজন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও তার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তা দেয়ায় পররাষ্ট্র সচিব এ সময় চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ইউনান প্রদেশে তিনটি বিখ্যাত মেডিকেল হাসপাতাল মনোনীত করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, চিকিৎসা ও শিক্ষা, বিশেষ করে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের সহযোগিতা দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এই বিষয়ে উভয় পক্ষ ঢাকায় শিক্ষা ও চিকিৎসা মেলা আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যাতে করে আরও তরুণ বাংলাদেশিরা চীনা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলো, বিশেষ করে চলমান রোহিঙ্গা সংকটও আলোচনায় উঠে আসে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এই নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্র সচিব চীনের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন।