কলাম
প্রাসঙ্গিক ভাবনা
আমি জালেমের নিষ্ঠুর আনন্দ ও মজলুমের রক্তাশ্রু দেখেছি
॥ ড. মো. নূরুল আমিন ॥
বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন তার তৃতীয় গতি সূত্রের অংশ হিসেবে বলেছিলেন, ‘Every action has its equal and opposite reaction.’ অর্থাৎ প্রত্যেকটি ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; এর তাৎপর্য অনেকটা স্বতঃসিদ্ধ। কথাটি কেন মনে পড়ল পরে বলছি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে আমার এ সংক্ষিপ্ত জীবনে রাষ্ট্র ও সমাজে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনার সাক্ষী হবার সুযোগ দিয়েছেন। আমি জালেমের নিষ্ঠুর আনন্দ বর্বরতা ও মজলুমের রক্তাশ্রু দেখেছি। দেখেছি কিভাবে মানুষ তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির অভিধা মুছে ফেলে নিকৃষ্ট প্রাণির চেয়েও অধম জন্তুতে পরিণত হতে পারে।
গত ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ছিলাম। এ তিন দিন ইচ্ছে করেই পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন ও সোস্যাল মিডিয়া থেকে দূরে ছিলাম। চব্বিশের ৩৬ জুলাই খ্যাত পাঁচ আগস্ট ফ্যাসিবাদি খুনি, লুটেরা ও স্বৈরাচারি হাসিনার পতন ও পলায়ন নতুন স্বাধীনতার যে নবপ্রভাত সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছিল পুরাতনের সাথে নতুন ফ্যাসিবাদ ও চাঁদাবাজ মিলে একটি আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় তা নস্যাৎ করার যে কসরত কিছুদিন ধরে জনমনকে বিষাক্ত করে তুলছিল তা দেখা ও শোনার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু চুপ থাকতে পারলাম না। গত প্রায় সপ্তাহব্যাপী ঢাকাসহ সারা দেশে যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে স্তম্ভিত হয়ে পড়ছি। এর মধ্যে ভারতের আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে থাকা খুনি হাসিনার ফিরে আসার প্রত্যয় ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে উত্তেজিত জনতা কর্তৃক শেখ মুজিবের ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়ি ধূলিসাৎ করে দেয়াসহ শেখ হাসিনার স্বামীর সুধাসদন, শেখ সেলিমের বাড়ি, নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও হাসিনার আত্মীয়-দোসরদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অনেকের মতে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন এ দেশের মানুষের বন্ধু নয়, ভারতের বন্ধু এবং ভারতীয় নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ মদদে তারা বাংলাদেশের মানুষের যে ক্ষতি করেছে তার নজির দুনিয়ার ইতিহাসে নেই। বাংলাদেশ নামক ভূখ-ের সুবেদারী ও জমিদারি ফিরে পাবার উগ্র কামনা ও ভারতীয় সহযোগিতায় পুনরায় দেশে ফিরে আসার পরিবেশ সৃষ্টি ও বিশৃঙ্খল একটি পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এবং কারো কারো মতে গৃহযুদ্ধ বাধানোর জন্য এখন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর সাথে কল্পিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা যোগ করে ভারতীয় হস্তক্ষেপের পরিবেশ সৃষ্টিও একটি উদ্দেশ্য হতে পারে বলে অনেকের ধারণা। ভারতীয় দূত শ্রী শ্রীংলার এ ব্যাপারে একটি মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন যে, শেখ মুজিবের ৩২ নং এর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার সাথে ছাত্র-জনতার সম্পর্ক নেই; এই কাজ সন্ত্রাসীরা করেছে। এই সন্ত্রাসী কারা, কারা তাদের ভাড়া করেছে? এ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবের বাড়িটির কিছু ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। শেখ মুজিব জীবিত থাকাকালে ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ পর ১৫ ডিসেম্বর অধুনালুপ্ত দৈনিক পূর্ব দেশে আমার তৎকালীন সহকর্মী মরহুম আবদুল গাফফার চৌধুরীসহ তার সাথে সাক্ষাতের জন্য একবার গিয়েছিলাম। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়ায় তখন শেখ মুজিবের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার সম্ভাবনা সর্বত্র আকাশে-বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তার সাথে অনেক কথা হয়েছিল। তিনি টেবিল টকে অত্যন্ত পারঙ্গম ব্যক্তি ছিলেন। কথা প্রসঙ্গে গাফফার চৌধুরী তাকে বলে বসলেন, মুজিব ভাই আমরা পূর্ব পাকিস্তানীরা কি এখন স্বাধীন হয়ে যেতে পারি না? শেখ মুজিব টেবিলে একটা থাপ্পড় দিয়ে বললেন, গাফফার তুমি কী বলছ? আমরা সংখ্যাগুরু, আমরা কেন বিচ্ছিন্ন হতে যাব? বিচ্ছিন্ন হলে পশ্চিম পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হবে, একবার ক্ষমতায় যাইয়া নেই। জাতীয় পরিষদে ঘোষণা দিয়ে তাদের বলব, তোমরা যদি আমাদের সাথে থাকতে চাও, থাকতে পারো। আর যদি আলাদা হতে চাও, আমাদের আপত্তি নেই।’ কথাগুলো আজো আমার কানে বাজে।
৩২ নম্বরের একটি ইতিহাস আছে। শেখ মুজিব, আতাউর রহমান খানের আমলে পূর্ব পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন বিভাগের একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী ছিলেন। ঐ সময়ে সরকারিভাবে ধানমন্ডিতে এই প্লটটি পেয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব চলে যাবার পর তার এ বাড়িটি তৈরি হয়। পাকিস্তানের একজন শিল্পপতি তার দুটি উপকার করেছিলেন। তার কিছু সার্ভিসের বিনিময়ে। সার্ভিসটি ছিল এ অঞ্চলে তার যেসব শিল্প-কারখানা ছিল সেগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকা- ও হরতাল-ধর্মঘট রোধের নিশ্চয়তা। তিনি এ নিশ্চয়তার বিনিময়ে তার একটি বীমা কোম্পানিতে মাসিক তিন হাজার টাকায় একটি চাকরি ও ৩২ নং এর এই বাড়িটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তার গ্রেফতার হওয়া এবং দেশ স্বাধীন হবার পর ’৭২ সালে দেশে ফিরে এসে ’৭৫ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হবার আগ পর্যন্ত তিনি এই বাড়িতেই ছিলেন। দুর্জনদের অনেকেই বাড়িটিকে কাশিমনগরের দুর্গের সাথেও তুলনা করেন। বাড়িটি ধ্বংস হবার ফলে সুখের-দুঃখের, রাজনীতির-কূটনীতির অনেক স্মৃতি ও ইতিহাসের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল বলে মনে হয়, এটি দুঃখজনক। শেখ পরিবারের জন্য এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। কিন্তু এটা কেন হলো? এটি কি আসলে ইতিহাসের অমোঘ বিধান, না মানুষের অভিশাপ? সম্ভবত নিরপেক্ষ ইতিহাসই তা বলে দেবে। একটু পেছনে ফিরে যাই।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয় এবং শেখ মুজিবের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার সম্ভাবনাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও পাঞ্জাবি রাজনীতিক Clique নস্যাৎ করে দেয়ার ফলে সৃষ্ট সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড, অসহযোগ, ভারতে গিয়ে প্রায় কোটি শরণার্থীর আশ্রয় গ্রহণ, পাকিস্তান সৃষ্টির পর ভারত থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে আগত অবাঙালি বিহারীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন মিলিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধের অবস্থা সৃষ্টি, স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণহানি, মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন, স্বাধীনতা-উত্তর শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা সরকারের মর্মান্তিক অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা-গুম, দুর্নীতি-আত্মসাৎ প্রভৃতি ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া কি আমরা দেখতে পাচ্ছি? ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর এ ভূখণ্ডে পাকিস্তান বাহিনীর অত্যাচার ও আওয়ামী লীগের নৃশংসতা এখন ইতিহাসের বিষয়বস্তু। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস। এ দিন সারাদেশে অবাঙালি বিহারী জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তাহীনতা প্রচণ্ড আকার ধারণ করে। ঐ দিন নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০টা বগি ভর্তি করে বিহারী নারী-শিশুসহ একটি ট্রেন ঢাকা আসার পথে চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা থামিয়ে দেয় এবং নারীদের ওপর চরম নির্যাতন চালায়। যুবতী নারীদের প্রায় সকলেরই ব্রেস্ট কেটে দেয়, তাদের গোপনাঙ্গে বেয়নেট ও রড ঢুকিয়ে নির্যাতন করে। সেনাবাহিনী খবর পেয়ে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে এ নৃশংস অবস্থা স্বচক্ষে দেখার আমার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর, রংপুর, সৈয়দপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে কর্মরত বিহারী ও তাদের পরিবারসমূহের উপর যে অত্যাচার হয়েছিল তা বর্ণনাতীত।
দেশ স্বাধীন হবার অব্যবহিত পর, উপরোক্ত বিহারী অধ্যুষিত এলাকাসমূহে তাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দখল করে নেয়। আমার নিজের নিবাস ছিল তখন আরমানিটোলা হাইস্কুল সংলগ্ন ৩/২ শরৎ চক্রবর্তী রোডে। তৎকালীন আওয়ামী সরকার আমাকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে সরকারের মন্ত্রী মতিয়ুর রহমানের লোকেরা তাও দখল করে নেয়। দেশের খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ, পার্লামেন্টারিয়ান ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমার এক সহকর্মী জামায়াত নেতা, অধ্যাপক রফিকুদ্দিনকে হত্যা করে তার লাশ টুকরো টুকরো করে কূয়ায় ফেলে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান FBCCI-এর জরিপ মতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতারা অবাঙালি ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের ৫৭০০ শিল্প-কারখানা ও ব্যবসায়িক স্থাপনা কেড়ে নিয়ে নিজেরা মালিক সেজেছিলেন।
রাজাকার ও কলাবরেটার হবার অপবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের প্রথম তিন মাসে বিনা বিচারে লক্ষাধিক লোককে হত্যা করা হয়েছিল, এক নিরীহ কবি ইসলামী পুনরুজ্জাগরণের নকীব ফররুখ আহমদের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় এবং রেডিও পাকিস্তান থেকে চাকরিচ্যুত করে তার পরিবারকে এমন অভাব-অনটনের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল যে, একজন মুদি দোকানদার তার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রায় দু’বছর তার সংসারের সামগ্রিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আমি ফেনীর দাগনভুঞার ক্রোশ মুন্সি বাজারে আতাতুর্ক হাইস্কুলের শিক্ষক নূরুল ইসলামসহ ১০ জন নিরপরাধ দাড়ি-টুপিধারী ব্যক্তিকে ‘জয় বাংলা’ না বলার কারণে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে একই গর্তে বিনা জানাযায় কবর দিতে দেখেছি। একইভাবে ফেনীর রাজারঝির দিঘীর পূর্ব উত্তর পাড়েও অবাঙালি মুসলমানদের হত্যা করে গর্তে চাপা দিতে শুনেছি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগই বিবিসির সাংবাদিকদের নিয়ে পাকিস্তানীদের নৃশংসতার চিহ্ন হিসেবে এগুলো প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
শাহজাহানপুর/মতিঝিল পীর জঙ্গী মাজার থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত মূল সড়কের পাশে অনেকগুলো অফিসার্স কোয়ার্টার ছিল যেখানে রেলের অবাঙালি অফিসাররা বসবাস করতেন, আবদুল গনি রোডেও তাদের বাংলো ছিল। এসব বাসা বাংলোর পাশে দিয়ে নারী শিশুদের কান্নায় হাঁটা যেত না। তাদের ওপর রাত-দিন মর্মান্তিক রেপ চলত।
আলেম-ওলামাদের ওপর তারা যে জুলুম-নির্যাতন করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। শেখ হাসিনার পিতার আমলে যা করা হয়েছে তার আমলে তার চেয়ে কয়েকশ’ গুণ বেশি হয়েছে। জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, তাদের সম্পত্তি দখল, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপরাধে তাদের ফাঁসি ও জেল-জুলুম, বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা, নির্দয়-নিষ্ঠুরভাবে তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, সাবেক সেনাপ্রধান ও দেশের প্রেসিডেন্ট স্বাধীনতার ঘোষক জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও তার সন্তানদের সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে তাদের বহু বছরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি নিশ্চিহ্ন করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত নেতাদের বাসবভন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া, বহু নিরীহ পরিবারকে বাড়ি-ঘর ভেঙে আশ্রয়হীনতার মুখে ঠেলে দেয়া এবং এমনকি তীব্র শীতের মধ্যে তাদের লেপ, তোষক, কম্বল, বালিস পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়ার মতো নিষ্ঠুরতাও আমি দেখেছি। এখন দেখছি শেখ হাসিনা গংদের বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবস্থা। এগুলো কি প্রতিশোধ? ভুক্তভোগী বা ছাত্র-জনতা এর সাথে জড়িত হতে পারে না। তাহলে কারা করছে?
আইজাক নিউটনের সাথে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে কি বলব, ‘Every action has its equal and opposite reaction.’ না কবির ভাষায় ‘হে মোর দুর্ভাগা দেশ যাদের করেছ অপমান, অপমান হতে হবে তাদের সবার সমান। পাঠকরাই মেহেরবাণী করে বলে দিন।